যারা দোযখে প্রবেশ করবে তাদের জন্য সর্ব প্রধান উপকরণ হচ্ছে আগুন। দোযখের আগুন এর ক্ষমতা পৃথিবীর আগুনের তুলনায় অনেক বেশি।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ দোযখের আগুনকে হাজার হাজার বছর উত্তপ্ত করিবার পর তা লোহিত বর্ণ ধারণ করে এবং তা দেখতে লাল বর্ণের হয়। এরূপ উক্ত আগুনকে আরো তীব্রতর অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন করিবার উদ্দেশ্যে সেই অগ্নিকে আবারও আরও ১ হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করা হয়।
এরপরে এই আগুন আরো তীব্রতর হয়ে শ্বেতবর্ণ ধারণ করে। এরপর এই তীব্র দাহিকা সম্পন্ন অগ্নিকে আরো অধিক বেশি তীব্র করিবার জন্য পুনরায় আবার ১ হাজার বছর কাল ধরে তীব্র করা হয়। এরপর অগ্নি কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। বর্তমানে দোযখের অগ্নির রং ঘাঢ় কৃষ্ণবর্ণের এবং দোযখও ঘোর অন্ধকারছন্ন কুপের মতন রয়েছে।
নবী করীম (সা:) এরশাদ করেন : হে সাহাবীগণ! তোমাদের এই পৃথিবীর অগ্নি হতে দোযখের অগ্নি ৭০ গুন অধিক দাহিকা সম্পন্ন।
সাহাবাগণ নবী করীম (সা:) এর পবিত্র মুখে এই কথা শুনে বলিলেন : ইয়া রাসুলুআল্লাহ! আমাদের পৃথিবীর এই অগ্নিইতো পোড়বার জন্য যথেষ্ট। পৃথিবীর এই আগুনইতো সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে। তাহলে দোযখের আগুন ৭০ গুন অধিক দাহিদা সম্পন্ন কেন?
তখন নবী করীম (সা:) বলেন : তা ঠিক! কিন্তু দোযখীদের কঠোর আযাব দেওয়ার জন্য অগ্নিকে পৃথিবীর অগ্নি হতে ৬৯ গুণ বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে।