মৃত্যুর সময় ইহলৌকিক কোন কঠিন বিপদাপদের সম্মুখীন না হয়ে যদি রুহ কবজ করার যন্ত্রণা পেতে হতো তাহলেও সে যন্ত্রণার ভয়ে মানুষ দুনিয়ার সকল আনন্দ ত্যাগ করে দিত। কারণ যদি মানুষের মধ্যে এ ভয় থাকে যে, কোন ডাকাত দল এসে যেকোনো সময় আক্রমণ করে তার সকল ধন সম্পদ নিয়ে যেতে পারে। এভাবে মানুষ দুনিয়ার খানা – খাদ্য, ঘুম ত্যাগ করে ফেলে। কারণ কখন ডাকাত আক্রমণ করে বসে, অথচ ডাকাত আক্রমণ করার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু মৃত্যু অনিবার্য এবং যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারে এতে কারো কোনো সন্দেহ নেই।
এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে – ” প্রতিটি আত্মাকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।” কিন্তু মানুষ দুনিয়ার মোহে এতই বিভোর যে, মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে কোন ভয় নেই। মৃত্যুর সময় যখন রূহু বের করা হবে সে সময় যে কষ্ট হবে, সে কষ্ট তলোয়ারের আঘাতের টুকরা টুকরা হওয়ার কষ্ট হতেও অনেক কঠিন হবে। আবার কারও মতে শরীরের কোন অংশে আগুন লাগালে যেরূপ সমস্ত শরীরে কষ্ট অনুভব হয়ে থাকে।
মানবের জীবন বা প্রাণ শরীরের সমস্ত স্থানের সাথে সঞ্চারিত রয়েছে, তাই মৃত্যুর সময় প্রাণ বের করার সময় শরীরের প্রতিটি অংশে এর ব্যাথা – বেদনা অনুভব হয়। আর এর প্রভাবে সমস্ত শরীর অবশ হয়ে পড়ে এবং তার বাকশক্তি বন্ধ হয়ে, নিরব নিস্তেজ হয়ে যায়। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তারাই কেবল মৃত্যুর যন্ত্রনা যে কত কষ্টকর তা অনুভব করেছে। এ ছাড়া আর কেউ এ যন্ত্রণা অনুভব করতে পারে না। কিন্তু নবী (আ:) নবুওয়্যাতীর আলোকে এর সম্যক ধারণা বুঝতে পেরেছেন।