- হে মানুষ তোমরা তোমাদের প্রভূকে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। ( সূরা নিসা, আয়াত – ০১)
- হে ঈমানদার লোকেরা তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সরল সঠিক কথা বলো। (তাহলে) তিনি তোমাদের জন্য ইসলাহ করে দেবেন তোমাদের আমল এবং ক্ষমা করে দেবেন তোমাদের অপরাধ। ( সূরা আহযাব,আয়াত -৭০, ৭১)
- তোমরা সেই দিনটিকে ভয় করো যেদিন তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে আল্লাহর কাছে। ( সূরা বাকারা, আয়াত – ১৮১ )
- হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদী – সত্যপন্থীদের সাথী হও। ( সূরা তাওবা,আয়াত -১১৯ )
- আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আমল (কর্মকান্ড) সম্পর্কে বিশেষভাবে খবর রাখেন। (সূরা মায়েদা, আয়াত-০৮)
মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মানবচরিত্রের অন্যতম সম্পদ তাকওয়া। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের মূল ভিত্তি হলোতাকওয়া। মানুষের ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবন যাপনের চালিকা শক্তি হচ্ছে তাকওয়া।
মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পকের্ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে
- হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় করো। (সূরা ইমরান, ১০২)
- আল্লাহর নিকট পৌঁছে না গোশত ও রক্ত (কুরবানির পশুর)। বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। (সূরা হাজ্জ, আয়াত- ৩৭)
- নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন। (সূরা তাওবা, আয়াত -০৪)
মূলত তাকওয়া অবলম্বন জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, দুটি চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করতে পারবে না, একটি চোখযা আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করে, আর অপর চোখ যা আল্লাহর রাস্তায় পাহারারত অবস্থায় রাত্রিযাপন করে।
- তাকওয়া শুধু জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয় না, বরং তা জান্নাতে প্রবেশ করতেও সাহায্য করে। যেমন, আল্লাহ বলেন, আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে রাখে নিশ্চয়ই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযিয়াত,৪০ – ৪১)
- মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। (সূরা দুখান, আয়াত – ৫১)
- তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত, যে তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত। (সূরা হুজুরাত,১৩)
হযরত আবু বকর (রা:) যখন রাস্ট্র প্রধান ছিলেন, তখন উমর (রা:) – কে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। উমর (রা:)- দীর্ঘদিন এ পদে থাকার পরে একদিন রাস্ট্র প্রধানের নিকটে এসে অভিযোগ করলেন যে, মুহতারাম আমাকে এ পদ থেকে অব্যহতি দেন! কারণ আমি কর্ম হীন দীর্ঘ দিন অলস জীবনযাপন করছি। আবুবকর (রা:) – এর কারণ জানতে চাইলে উমর (রা:) জানালেন যে, আমি এ পদে নিযুক্ত হবার পর এ যাবত একটি কেইস ও কোর্টে আসেনি। তার কারণ হচ্ছে দেশের জনগণ আল্লাহর আইন পালনে এতই তাকওয়াবান হয়ে গেছে যে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেয়। যারা একসময় সম্পদের ভক্ষক ছিলো তারা সম্পদের রক্ষক হয়ে গেছে, যারা নারীর সতীত্ব হরণকারী ছিলো তারা নারীর অভিভাবক হয়েগেছে। আলহামদুলিল্লাহ। আর এসবের মূলে হলো “তাকওয়া”।