আসসালামু আলাইকুম বাংলা ওয়েব সাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ।
প্রথমেই আমরা জেনে নেই টেক্সটাইল কি?
টেক্সটাইল কি?
টেক্সটাইল হলো সুতা, কাপড়, ডাইং, প্রিন্টিং ইত্যাদি সম্মিলিত রূপ। তাহলে আমরা যেই কাপড় ব্যবহার করি এটি সম্পূর্ণই টেক্সটাইলের আওতাভুক্ত।
টেক্সটাইল বাংলায় এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করুন।
সংক্ষেপে টেক্সটাইল এর ইতিহাস
টেক্সটাইলের ইতিহাস
অনেক পূর্বে থেকেই টেক্সটাইল শিল্প আমাদের দেশে রয়েছে। ১৯৪৭-১৯৭১ সালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের মধ্যে স্থাপিত হয়েছে। মূলত ১৯৭১ সালের পর থেকে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এক্সপোর্ট এর কাজ শুরু করে। ১৯৭২ সালে টেক্সটাইল সেক্টর কে আরও বড় করার জন্য বাংলাদেশ সরকার (BTMC) বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন তৈরি করেন। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশের প্রধান খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় টেক্সটাইল সেক্টর। বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর এর প্রতিটি অংশ যেমন, নিটিং উইভিং স্পিনিং ডাইং প্রিন্টিং ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক ভালো করে উন্নত করেছে।
বর্তমানে টেক্সটাইল সেক্টরের কর্মীদের পরিমাণ
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরের কর্মীদের পরিমাণ হচ্ছে ৪০ লক্ষ এর অধিক। তবে ধারণা করা হচ্ছে ধীরে ধীরে টেক্সটাইল কারখানা আরো বড় হলে কর্মীদের সংখ্যাও আরো বাড়বে। ৪০ লক্ষের অধিক কর্মচারী টেক্সটাইল সেক্টরে বর্তমানে কর্মরত অবস্থায় রয়েছে কিন্তু এখনো অনেক কোম্পানি কর্মী সংকটে রয়েছে। এদের মধ্যে বিশেষ চাহিদা রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ
বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। উপরের কতগুলো পয়েন্ট দেওয়া আছে সেগুলো অবশ্যই পড়েছেন। বর্তমানে টেক্সটাইল কোম্পানি গুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা। সুতরাং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হোক অথবা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং হোক কোম্পানিতে তাদের চাহিদা থাকেই। বিশেষ করে যদি অভিজ্ঞ লোক হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।
সবশেষে এটাই বুঝা গেল যে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ভবিষ্যতে পোশাক শিল্পকে লিড দেওয়ার জন্য অনেক ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন। আশা করি বাংলাদেশ টেক্সটাইল শিল্প যেভাবে গ্রো করছে ফিউচারে আরো ভালোভাবে গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন কিছু উপহার দিবে।