এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব সুস্থভাবে বাঁচতে জন্য কি কি করতে হবে
প্রতিনিয়ত গড়ে ওঠা বদ অভ্যাস আমাদের জীবনেকে সুস্থভাবে কাটাতে দেয় না, বরং জীবনের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তবে কিছু কিছু ভালো যদি আপনি প্রতিনিয়ত ভরে তুলতে পারেন তাহলে আপনার জীবন আগের থেকে অনেক সুখময় সুস্থ ভাবে কাটাতে পারবেন।
চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কি কি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থভাবে বাঁচার সহজ হয়ে উঠবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটার অভ্যাস

প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে পারলে দেখবেন সারাদিন শরীরটা চাঙ্গা থাকবে, সকালে একটু শারীরিক ব্যায়াম হয়ে গেল।
সোজা হয়ে বসা

যেখানেই বসবেন না কেন সোজা হয়ে বুঝবেন কারন সোজা হয়ে বসলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন সাধারন গতিতে থাকে। সোজা হয়ে বসার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
তৈলাক্ত ও মিষ্টি খাবার পরিহার

আমরা সবাই তৈলাক্ত এবং মিষ্টি খাবার খুব বেশি পছন্দ করে, দেখা যায় যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে তারাও তৈলাক্ত খাবার এবং মিষ্টি খাবারের প্রতি দুর্বল থাকে। তৈলাক্ত খাবার এবং মিষ্টি খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর জানার পরেও খেতে মন চায়। আপনার প্রতিদিনের খাবারের লিস্ট থেকে এই খাবার গুলো বাদ দিয়ে ভালো কিছু খাবার যোগ করতে পারেন, কিসমিস, বাদাম, মধু ইত্যাদি।
শাকসবজি এবং ফলমূল

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশ খুব ভালোভাবে কাজ করবে। বর্তমানে প্রায়ই দেখা যায় শাকসবজি-ফলমূল এগুলো না খেয়ে মানুষ ভাজাপোড়া খাবার যেমন ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি খায় এই খাবারগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই এগুলো বাদ দিয়ে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া খুবই জরুরী।
কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত

সারাদিন আপনার নিজের যে কাজগুলো আছে এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করবেন যাতে করে উটকো চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে। আজেবাজে কোন নেগেটিভ চিন্তাভাবনা মাথায় নাই নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল তাহলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করতে পারবেন।
রাগ নিয়ন্ত্রণ

সব সময় নিজেকে নিজের রাগকে কন্ট্রোল রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে যা পরবর্তীতে আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন যদি রাগ নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে ইউটিউব এ পজেটিভ থাকার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ভিডিও আছে তা দেখে নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
কথাবার্তায় সংযমী হন

কথাবার্তা বলার আগেই চিন্তা করবেন যে আপনি যা বলছেন তা ঠিক বলছেন তো। যদি আপনার মনে হয় ঠিক বলছেন তাহলে বলে দিবেন, আর যদি মনে হয় না এটা বললে কোন সমস্যা হয় দাঁড়াতে পারে তাহলে অবশ্যই সেটা না বলা ভালো। কারণ একবার মুখ থেকে কোন কথা বের হলে সেটা কি ফিরিয়ে নেবার আর কোন উপায় নেই। তাই বলার আগেই ভেবে চিন্তে বলবেন।
এই অভ্যাসগুলো ছাড়াও ব্যক্তি জীবনে আরও বিভিন্ন ভালো ভালো অভ্যাস ধীরে ধীরে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন যেমন বই পড়ার অভ্যাস, নামাজ পড়ার অভ্যাস, ছোট ছোট ভালো কাজ করার অভ্যাস ইত্যাদি নিজের ভিতর আনার চেষ্টা করবেন।