বর্তমানে করোনাভাইরাস এর কারণে অনেক শপেরই কাস্টমার সার্ভিস কমে গেছে। কিন্তু করোনা হোক আর যাই হোক কাস্টমার আগেও কিং ছিল এখনো কিং রয়েছে। আজকে আপনাদের এমন কিছু টিপস দিব যাতে করে কাস্টমার আগে আপনার শপে যেমন বিশ্বাস করে আসতো ঠিক তেমনি করোনাভাইরাস থাকাকালীন সময়েও বিশ্বাস করে আসতে থাকবে।
কিছু বেসিক ঠিক রাখতে হবে
- কাস্টমারকে স্বাগতম জানানো
- হাসিমুখে কাস্টমারের সাথে ব্যবহার করা
- আই কন্টাক্ট
- বিল দেওয়ার পরে ধন্যবাদ জানানো
এই বেসিক গুলো সব সময় ঠিক রাখতে হবে।
অবশ্যই ভাইরাস চলাকালীন সময়ে ৩ – ৫ ফুট দূরত্বের মধ্যে থেকেই এই নিয়মগুলো মানতে হবে।
তার পরেও করোনাকালীন সময় আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
নিরাপদ দূরত্ব এবং ভাষা
করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে যেহেতু নিরাপদ দূরত্বের নিয়ম রয়েছে সেহেতু যে সেলার থাকবে সে অবশ্যই নিরাপদ দূরত্বের নিয়ম মেনে নরম ভাষায় কাস্টমারের সাথে প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা
করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা খুব জরুরী একটি বিষয়। যে শপ সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারবে সেই শপে মানুষ যত বেশি ঝুকবে। কাস্টমারকে গুগলি বিশ্বাস করাতে হবে যে আপনার এখানে সেফটি রুলস সঠিকভাবে পালন করা হয়। যে আপনার স্টোরে নিরাপত্তা বোধ করবে সে আপনার স্টোরে প্রবেশ করবে। অন্যথায় স্টোরে ঢুকবেই না।
মাস্ক প্রসেস
আপনার স্টোরে যে ঢুকবে তার যদি মাস্ক না থাকে তাহলে একটি মাস্ক পরিধান করার জন্য দিবেন। তাহলে অবশ্যই কাস্টমার আপনার স্টোরে বেশি নিরাপত্তাবোধ করবে।
সেনিটাইজেশন পদ্ধতি
বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে করোনাভাইরাস যেহেতু চোখে দেখা যায় না সেহেতু শরীরের যেকোনো স্থানে থাকতে পারে। তার কারণে সেনিটাইজেশন করার ফলে করোনাভাইরাস মরে যায়। ফুল বডি স্যানিটাইজেশন সিস্টেম ইন্সটল করলে অনেক ভাল হয়। আপনার স্টোরের সব কর্মকর্তাকে সেনিটাইজেশন পদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে, কোন একজন কর্মকর্তা যদি এটাকে হালকা ভাবে নেয় তাহলে আপনার কাস্টমার এবং আপনার স্টোরের সবাই বিপদজনক অবস্থা থাকবে।
স্টোরের মধ্যে মাস্ক নিয়মিত পরিধান করা, প্রতিনিয়ত ও হাত সানি ডাইজেশন দিয়ে পরিষ্কার করা, আলাদা আলাদা সারফেসকে স্যানিটাইজেসন করা। এই সবগুলো কে করবে, কখন করবে, কোন সময় করবে সবকিছু সবার জানা থাকতে হবে।
সতর্কতাঃ কাস্টমারের সুবিধার দিক বিবেচনা করে সমস্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। কাস্টমারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।