শুধু পোষ্ট ভিউ করে আজ থেকেই ইনকাম শুরু করুন। ক্লিক করে জেনে নিন।
ডেনিম :-
বর্তমান সময়ে ডেনিম শব্দটি সবার কাছেই পরিচিত। শুধুমাত্র ফ্যাশন জগতেই নয় আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের জন্যও ডেনিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিন্স শব্দটি যেখানে আসবে সেখানেই যেন ডেনিম অটোমেটিক চলে আসে। তাই আমাদের টেক্সটাইল বাংলার আজকের এই পর্বে আমরা জানতে পারবো ডেনিমের উৎপত্তি কোথা থেকে কিভাবে ডেনিম এত পরিচিত হলো।
ডেনিম এর ইতিহাস
ডেনিমের ইতিহাস খুব পুরনো। ১৯৬৯ সালে আমেরিকান ফেব্রিকস নামক এক ম্যাগাজিনে একজন রিপোর্টার রিপোর্ট করেছিলেন যে, ” পৃথিবীর আদি ফেব্রিক বা কাপড় সমূহের মধ্যে ডেনিম অন্যতম হলেও এর যৌবন চিরন্তন” কথাটি এখনো বাস্তব। কারণ ১৭ শতকের শুরুর দিকে ডেনিম এর প্রচলন ধীরে ধীরে শুরু হয় তখন থেকে এই পর্যন্ত ডেনিমের প্রচলন চলেই আসছে। বর্তমান সময়ে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে প্রায় প্রতিটি যুবকের পরনে ডেনিমের জিন্স রয়েছে।
বর্তমানে ফ্যাশনের মধ্যে ডেনিম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে রয়েছে। কিন্তু যখন ডেনিমের উৎপত্তি হয় তখন ডেনিম কোন ফ্যাশন এর জন্য তৈরি করা হয় নাই। প্রথমেই ডেনিম এবং জিন্সের পার্থক্য বুঝে নেয়া যাক।
ডেনিম হচ্ছে গার্মেন্টসে তৈরির মূল ফেব্রিক। অন্যদিকে জিন্স হলো ডেনিম থেকে তৈরি প্যান্ট। যাইহোক ডেনিমের ইতিহাস ঘুরে আসা যাক।
১৮৪৮ সালে ২৪ শে জানুয়ারি জেমস মার্সেল ক্যালিফোর্নিয়ার কলমা এলাকায় স্বর্ণ খুঁজে পেয়েছিলেন পুরো বিশ্বে এই খবরটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বর্ণের গন্ধে দেশ বিদেশ প্রায় ৩ লক্ষ ভাউ্গানেশি শ্রমিক হয়ে নেমে পড়েছিলেন স্বর্ণের খনিতে স্বর্ণ খোঁজার জন্য। কাদা এবং জলের মধ্যে ঘন্টার পর ঘণ্টায় দাঁড়িয়ে থাকার পরে উঠে আসতো অল্প একটু স্বর্ণ। এই কাজ খুবই কষ্টকর ছিল। শ্রমিকেরা খুব সাধারন পোশাক পড়ে কাজে নামত কিন্তু প্রতিদিন এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পর সাধারণভাবেই তাদের জামা কাপড় ছিড়ে যেত এই ছাড়া জামা কাপড় তারা নিয়ে যেতেন লাদবিয়া থেকে আমেরিকায় আসা দর্জি জেকফ ডেজিজের কাছে।
এই দর্জি হিমশিম খেয়ে যেত জামা কাপড় শিলাতে শিলাতে। তখন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল কিভাবে শ্রমিকদের হাতে শক্তপোক্ত কাপড়ের প্যান্ট তুলে দেয়া যায়। যেগুলো সহজে ছিঁড়বে না অনেক সময় ধরে কাজ করার পরেও।
ডেনিম এর ইতিহাস Youtube ভিডিও
ওই সময় জার্মানি থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন লিভা স্টস নামের জার্মানি ব্যক্তি। তার পেশা ছিল সাপ্লায়ার। ১৮৫৩ সালে তিনি সানফ্লান্সসিকোতে চলে যান ব্যবসার দাড় করানোর জন্য। রং এবং কাপড়ের ব্যবসা ছিল জার্মানিতে। সেই ব্যবসার একটি শাখা সানফ্রান্সকো খুলেছিলেন লিভা স্টস। তার দোকানেই কাপড় কিনতে আসতো জার্মানি দর্জি জেকফ।
জার্মানির দর্জি জার্মানির কাপড় ব্যবসায়ীকে বলল শ্রমিকদের সমস্যার কথা এবং সমাধানের জন্য মোটা এবং শক্ত কাপড় যা বহুদিন ব্যবহার করা যাবে তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বললেন। তখন দোকানে কাপড় খোঁজা শুরু করলেন জার্মানিক ব্যবসায়ী অনেক খোঁজার পর এক ধরনের কাপড় পেল যার রং নীল এবং খুব শক্ত। কিন্তু ওই কাপড় পোশাক তৈরি করার জন্য ছিল না, ১৭ শতকের দিকে ওই কাপড় দিয়ে মালবাহী জাহাজের মাল থাকতে এবং ডকের জিনিসপত্র ঢাকতে, তাবু তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। এই কাপড়ের উপাদান কে ডেনিম বলা হতো।
ফ্রান্সের নিমন্স শহরে এই সুতা তৈরি হতো বলে ডেনিমস শব্দ থেকে ডেনিম শব্দটা এসেছে। ফ্রান্সের তাঁতিদের তৈরি করা এই ডেনিমের সুতো থেকে ইতালির জেনুয়া শহরের এক তাঁতি এক ধরনের শক্তপোক্ত কাপড় বানিয়েছেন তার নাম ছিল জিন্স হুস্তিয়ান। পরে এই শব্দ থেকে হুস্তিয়ান শব্দটি কেটে শুধুমাত্র জিন্স রাখা হয়েছিল। জার্মানির ব্যবসায়ী খুজে খুজে এই কাপড়ই বের করেছিলেন। কিন্তু জানু অনেক দর্জি একটি শক্ত ভক্ত ডিসিশন নিয়েছিলেন যে এই কাপড় দিয়েই প্যান্ট তৈরি করা হবে।
অবশেষে যেইরকম ঐরকম কাজ শক্ত কাপড় মোটা সুতার সেলাই এবং পকেটের কোণে কোনে রিবেট মারা প্যান্ট খনির শ্রমিকদের খুবই পছন্দ হয়েছিল। পছন্দ হওয়ার পিছনে কিছু কারণও ছিল। প্রথমত প্যান্ট খুবই মজবুত ছিল যা আগের মতন খুব সহজেই ছিল না অনেকদিন ঠিক সেই হত আরেক দিকে প্যান্টের রং ছিল নীল রং অনেক ময়লা হলেও ময়লা দেখা যেত না।
খনি শ্রমিকদের পাশাপাশি কৃষকেরাও এই প্যান্ট খুব সহজেই গ্রহণ করল। কারণ বহুদিন ব্যবহার করা যায় খুব সহজে ময়লা হয় না। আর সহজে ছিড়েও না। এদের ছাড়াও নানা কলকারখানার শ্রমিকেরা এই প্যান্ট ব্যবহার করা শুরূ করে। আর তাদের সাথে সাথে সভ্য সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে পছন্দের হয়ে ওঠে জিন্সের প্যান্ট।
এই হচ্ছে ড্যানিমের ইতিহাস। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করবেন। পোস্টটি শেষ করার আগে ডেনিম সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক।
উত্তর কোরিয়া দুনিয়ার মধ্যে এমন একটি দেশ যেখানে জিন্সের প্যান্ট পরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ভাই কিনলাম প্রডাক্ট খুব ভাল।
Good products