পোশাক অর্থ বস্ত্র আর বস্ত্র সবারই প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ বাস করে আপনি একটু চিন্তা করেন যে ২০ কোটি মানুষের কত বস্ত্র প্রয়োজন। আর পৃথিবীতে প্রায় ৭৭০ কোটি মানুষ বাস করে সবাই বস্ত্র পরিধান করে তাই পোশাক শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে বাংলাদেশে ২০ কোটি মানুষের বস্ত্রের চাহিদা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মানে গার্মেন্টশিল্পের নির্ভর করে।
বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ৮০% আসে পোশাক শিল্প থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ হাজারের কাছাকাছি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সরাসরি পোশাক রপ্তানি করে।
এই সবগুলো প্রতিষ্ঠানে মিলে ১৮ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করে। সুতরাং বাংলাদেশের জিডিপি নির্ভর করে পোশাক শিল্পের উপর। যদি পোশাক শিল্প এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারে তাহলে বাংলাদেশ বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়বে।
পোশাকশিল্পে টিকে থাকার জন্য অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয় চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার সাথে। পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশেকে তার নিজের স্থান ধরে রাখতে হবে।
চলুন এক নজর দেখে আসি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে পোশাক শিল্পের প্রভাব।
২০১৬ – ২০১৭ অর্থবছরে
গার্মেন্ট সেক্টর থেকে আয় হয় ২৮১৪৯.৮৪ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টেজ ৮১.২৩% টোটাল রপ্তানি আয়ের এবং অন্যান্য সব পন্য বিদেশে রপ্তানি হয় ৬৫০৬.০৬ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টিজ মাত্র ১৮.৭৭%।
২০১৭ – ২০১৮ অর্থবছরে
গার্মেন্ট সেক্টর থেকে আয় হয় ৩০৬১৪.৭৬ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টেজ ৮৩% টোটাল রপ্তানি আয়ের এবং অন্যান্য সব পন্য বিদেশে রপ্তানি হয় ৬০৫৩.৪১ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টিজ মাত্র ১৬.৫১%।
২০১৮ – ২০১৯ অর্থবছরে
গার্মেন্ট সেক্টর থেকে আয় হয় ৩৪১৩৩.২৭ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টেজ ৮৪.২১% টোটাল রপ্তানি আয়ের এবং অন্যান্য সব পন্য বিদেশে রপ্তানি হয় ৬৪০১.৭৭ মিলিয়ন ডলার যার পার্সেন্টিজ মাত্র ১৫.৭৯%।
সুতরাং, আপনি বুঝতেই পারছেন যে রপ্তানি খাতে গার্মেন্টস শিল্পের অবদান কতোটুকু। আলোচনার মধ্যে বোঝা যায় যে বাংলাদেশে শিল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি।