এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কোন চার শ্রেণীর লোক রমজান মাসে মাফ পাবেনা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসের সবাইকে মাফ করে দেন, কিন্তু ৪ শ্রেণীর লোককে মাফ করেন না।
আল্লাহ তালার এর থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুক। কোন ভাইয়ের ভিতরে রকম গুণ থাকলে সাথে সাথে তওবা করুন।
- যে সব সময় মদ খায়।
- মা বাবার অবাধ্য সন্তান।
- আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী
- হিংসা এবং ক্ষতি করার মনোভাব কারী
যে সব সময় মদ খায়।
যে সব সময় মদ পান করে সে যদি তওবা না করে তাহলে সে রমজান মাসে মাফ পাবে না।
মা বাবার অবাধ্য সন্তান।
মা বাবার অবাধ্য সন্তান রমজান মাসে মাফ পাবে না। মা বাবার অবাধ্য সন্তানের জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু বলেছেন, সমস্ত গুনাহের শাস্তি মৃত্যুর পরে হবে কিন্তু মা বাবার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি দুনিয়া থেকেই শুরু হবে এবং শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
দুনিয়াতে ও শাস্তি পাবে আখেরাতেও শাস্তি হবে। শুধুমাত্র একটি গুনাই এরকম। কুফর, শিরক, জিনা, জুয়া ইত্যাদি পাপের শাস্তি মৃত্যুর পরে হবে কিন্তু বাবা মার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি দুনিয়া থেকে শুরু হবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেয়ামত কবে আসবে?
নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, এটাতো শুধুমাত্র আল্লাহ জানেন। তারপর বললেন কোন চিহ্ন বলে দিন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন, যখন মাকে বেজ্জতি করা হবে তখন কিয়ামত এসে পড়বে। এজন্য ভাই আমরা সকলেই মা বাবার সাথে নাফরমানীর না করে তাদেরকে ইজ্জত এবং মোহাব্বত করি।
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী। যেমন: খালা, ফুফু, মামা, ভাই, বোন, চাচা, চাচি অর্থাৎ কাছের যে আত্মীয়রা আছে তাদের সাথে ঝগড়া অথবা সম্পর্ক ছিন্ন করবে তাদের মাফ হবে না।
হিংসা – ঘৃণা এবং ক্ষতি করার মনোভাব কারী
চতুর্থ হচ্ছে হিংসা ঘৃণা এবং ক্ষতি করার মনোভাব যার মধ্যে থাকবে সে রমজান মাসে মুক্তি পাবে না।
এই চারটি খারাপ দিক যার ভিতর আছে সে মাফ পাবেনা। কিন্তু যদি কেউ তওবা করে তাহলে সব মাফ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে রমজান মাস দিয়েছে। জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, জান্নাতের দরজা খুলে যাবে। প্রত্যেকটা আমলের সওয়াব অধিক পাওয়া যাবে।
আমরা সবাই এই চারটি খারাপ গুণ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি। যদি হয়েও যায় তাহলে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে সবচেয়ে। আল্লাহ তাআলা সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক।