আল্লাহ তায়ালা আদম (আ:) সৃষ্টি করবেন ইহা তাহার সৃষ্টির আদিতে জানা ছিল। তাই তিনি সর্বপ্রথম নূরে মোহাম্মদী সৃষ্টি করলেন।
একটি হাদীসে বর্ণিত আছে : আওয়্যালুমা খালাক্কাল্লাহু নূরী।
অর্থ – ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করিয়াছেন।’
অন্য একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করিয়াছেন। উহা দ্বারা তিনি তাঁহার কুদরতের সকলের তকদীর করিলেন। অপর একটি হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি সেই নূরে মোহাম্মদী হইতে সূক্ষ্ম পদার্থের দিকে আপন কুদরতের নজরে তাকাইলেন তখন উহা পানি হইয়া গেল অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার জালালী দৃষ্টিতে একটি পানির পৃথিবী সৃষ্টি হইল। উহাতে পানি ছাড়া অন্য কিছু রইল না।
আবার আল্লাহ তাআলা সেই পানির আলমের প্রতি নজর দিলেন, তখন সেই পানি হইতে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম হইতে এক সংগে বায়ুপ্রবাহ উঠিল। আল্লাহ তায়ালার হুকুমে বায়ু চারিদিক হইতে পানির ওপর প্রবল বেগে বহিতে লাগিল। বায়ুর চারিদিক হইতে পানির উপর প্রবল বেগে বহিতে লাগিল। বায়ুর প্রবল বেগে পানিতে বিষণ ঢেউ উঠিল এবং ফেনা সৃষ্টি হইয়া ধুয়া জমাট হইয়া সাত ভাগে ভাগ হইয়া গেল।
- প্রথম ভাগ স্বচ্ছ পানি।
- দ্বিতীয় ভাগ তামা।
- দ্বিতীয় ভাগ লৌহ।
- চতুর্থ ভাগ রৌপ্য।
- পঞ্চম ভাগ স্বর্ণ।
- ষষ্ঠ ভাগ ইয়াকুত।
- সপ্তম ভাগ আকাশ সমান একটি মোতিতে পরিণত হইল।
অর্থাৎ দেখিতে দেখিতে সপ্ত আকাশ সৃষ্টি হইয়া গেল। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলিয়াছেন, এক আকাশ হইতে অন্য আকাশ ৫ শত বছরের ব্যবধান এবং ৫শ বছরের রাস্তা পুরু। তারপর আল্লাহ তাআলা আরশের নূর দ্বারা চন্দ্র , সূর্য এবং তারকা দ্বারা এই পৃথিবীর আকাশ সুশোভিত করেছেন। উহার আবর্তনে দিবারাত্রি সৃষ্টি করলেন। যাতে এই পৃথিবীর মাখলুক উহার ফলে জীবিকা লাভ করিতে পারে এবং এই অপরূপ সৃষ্টি দ্বারা উহার স্রষ্টাকে চিনতে পারে।