শুধু পোষ্ট ভিউ করে আজ থেকেই ইনকাম শুরু করুন। ক্লিক করে জেনে নিন।
আলহামদুলিল্লাহ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়া’লার। যিনি ফিতনা ফাসাদের জামানায় দুনিয়ার সর্ব উৎকৃষ্ট জায়গা আল্লাহর ঘর মসজিদে আসিয়া আল্লাহর হুকুম আছরের চার রাকাত ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দিয়েছেন এবং এর পরই একটি দ্বীনি ফিকিরের মজলিসে বসার তৌফিক দিয়েছেন এজন্য দিল থেকে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ। যে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহ তার নিয়ামত বাড়িয়ে দেন। আর যে না শুকরিয়া করে তার ব্যপারে আজাবের ঘোষণা আছে। আর আল্লাহর আজাব বড়ই কঠিন! মহল্লায় হাজারও মানুষ ছিল সবাই মসজিদে আসতে পারে নাই! আবার অনেকেই নামাজ পড়ছে কিন্তু এই মজলিসে বসতে পারে নাই। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেছেন তাকেই একটি নেক আমাল করার পর আরেকটি নেক আমাল করার তৌফিক দিয়েছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে নেক কাজের তৌফিক চেয়ে নেওয়া৷ দ্বীন আল্লাহ তায়া’লার কাছে অতি প্রিয় অতি মাহবুব। এই দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ তায়া’লা যুগে যুগে অসংখ্য নবী- রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নবী- রাসূল একই কালেমার দাওয়াত দিয়েছেন হে লোকসকল তোমরা বল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যারা বলছে মানছে তারা কামিয়াব হয়ে গেছে। আর যারা বলে নাই মানে নাই তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রত্যেক নবী- রাসূল এই দাওয়াতের কাজের জন্য কষ্ট মুজাহাদা করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ এই দাওয়াতের কাজের জন্য অনেক কষ্ট মুজাহাদা করেছেন৷ যার গায়ে মশা-মাছি বসা হারাম ছিল তিনিও এই দাওয়াতের কাজের জন্য রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন। এজন্য সকল নবী রাসূলের কষ্টের পাল্লা এক পাল্লায় রাখা হলে আর আমাদের নবী ﷺ এর কষ্টের পাল্লা আরেক পাল্লায় রাখা হলে আমাদের নবীর কষ্টের পাল্লাই ভারী হবে। দাওয়াত থাকবে ত দ্বীন থাকবে। আর দ্বীন থাকবে ত আল্লাহ এই দুনিয়ার নেযাম ঠিক রাখবেন। দাওয়াত থাকবে না ত দ্বীনও থাকবে না। মানুষের দেহের জন্য যেমন মাথা জরুরী ঠিক তেমনিভাবে দ্বীনের জন্য দাওয়াত এর চেয়ে বেশি জরুরী। মাছের জন্য যেমন পানি জরুরী দ্বীনের জন্য দাওয়াত এর চেয়ে বেশি জরুরী। আমরা এই দাওয়াতের কাজ করব ইন শা আল্লাহ। প্রতিটি কাজেরই লাভ আছে! লাভ ছাড়া কেউ কোন কাজ করে না। এই দাওয়াতের কাজেরও লাভ আছে।
- প্রতিটি কদমে ৭০০ করে নেকী পাওয়া যাবে ও ৭০০ গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
- দাওয়াতের কাজে বাহির হয়ে পায়ে ধুলাবালি লাগলে তা দোজখের আগুনে একত্রিত হবে না।
- এই কাজে প্রতি কথায় ১ বৎসর নফল ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে।
- দাওয়াতের কাজে বাহির হয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করিলে, শবে কদরের রাত্রে কা’বা শরীফে সামনে দাঁড়িয়ে সারা রাত ইবাদতের সওয়াব আল্লাহ তার আমালনামায় দিবেন।
দাওয়াতের কাজের জন্য একটি জামাআত দুটি অংশে বিভক্ত হয়। একটি মসজিদে অপরটি মসজিদের বাহিরে।
মসজিদের ভিতরে ৪ শ্রেণির লোক থাকিবেঃ
- একজন মুতাকাল্লিম থাকবে যিনি ঈমান ও একিনের কথা বলবেন।
- কয়েকজন মা’মুর থাকবে যারা আলোচনা শুনবেন।
- একজন ভাই যিকিরে থাকবেন।
- এক ভাই এস্তেকবালে থাকবেন।
বাহিরে জামাআতে ৪ শ্রেণির লোক থাকিবেঃ
- একজন স্থানীয় রাহাবার।
- একজন মুতাকাল্লিম।
- কয়েকজন মা’মুর এবং
- একজন জিম্মাদার।
রাহাবারের কাজ হল কোন বাড়িতে গিয়ে লোককে কাজ থেকে ফারাক করে এনে মুতাকাল্লিম ভাইয়ের হাতে পৌঁছিয়ে দিবেন। মুতাকাল্লিম ভাই তাকে ৩ কথার উপর দাওয়াত দিবেন৷ ১. তাওহীদ, ২.রিসালাত, ৩. আখিরাত। দাওয়াত বয়ানপর মত বড় হবে না এবং এলানের মত ছোট ও হবে না। মুতাকাল্লিম ভাই এভাবে দাওয়াত দিবেন – যে ভাই একদিন আমরা কেউ ছিলাম না এখন আছি আবার থাকব না। দুনিয়া থাকার জায়গা ও না । চাইলেও কেউ থাকতে পারবে না। আমরা প্রত্যেকেই শান্তু চাই। এই শান্তি আমার আপনার মাঝে কিভাবে আসবে? আল্লাহর হুকুম ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকায় চললে দুনিয়া ও আখিরাত দুজাহানেই শান্তি পাওয়া যাবে। এ কথার বিশ্বাস আমার আপনার দিলে কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত আনেওয়ালা উম্মতের দিলে কিভাবে আসে। এ সম্পর্কে আপনাদের মসজিদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে। আমরা শুনতে ছিলাম এবং আপনাকে নেওয়ার জন্য এসেছি।
এ কথার উপর উক্ত ব্যক্তি যদি মসজিদে আসতে চায় তাহলে একজন মা’মুর সাথে দিয়ে তাকে মসজিদে পাঠাবে। নতুবা তাকে হ্যাঁ এর উপর রেখে আসবে।
মামুরের কাজঃ
মামুরের মুখে থাকবে জিকির মুখে থাকবে ফিকির। মনে মনে এ কথা বলবে হে আল্লাহ! মুতাকাল্লিমের মুখ দিয়ে এমন কথা বাহির করে দিন যাতে ঐ লোক মসজিদ মুখী হয়ে যায়। রাস্তায় চলার সময়, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটব। চক্ষুর হেফাজত করে চলব। এলাকা লম্বা হলে একেবারে শেষ প্রান্ত থেকে দাওয়াত দিয়ে মসজিদে আসব। আর এলাকা গোলাকার হলে ডান পাশ দিয়ে দাওয়াত দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করব। দাওয়াত শেষে ইস্তেগফার পড়তে পড়তে মসজিদে পৌঁছাব। জামাআতে যোগদান করার পর নিজের জরুরতে বের হব।
আরো ভালোভাবে ইসলামিক পোস্ট পেতে টেক্সটাইল বাংলা সাথেই থাকুন।
লিখাঃ উমর ফারুক নাঈম
tablik e jabo 40 din er
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তাবলিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ আমল