অপর মানুষের সম্মুখে সম্মান লাভের উদ্দেশ্যে কোন সৎকার্য করাকে রিয়া বলে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কৃপণতা বর্জন করা কেনো মুমিনের লক্ষন।
১. সূরা আল মাউনের ঢীকায় ইমাম সুফিয়ান হইতে বর্ণিত,
কৃপণ লোক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করেনা, বড়লোকেদের নিকট সম্মানিত হওয়ার জন্য নামাজ পড়িয়া থাকে। তাহারা খুঁজ ও ক্লোদপূর্ণ জাহান্নামের নিম্নদেশে নিপতিত হইবে।
২. সহি বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে,
প্রত্যেকদিন প্রাত : কালে দুইজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতার দানের বিনিময়ে সম্পদের প্রাচুর্য দান করুন এবং তাহার বংশ রক্ষা করুন। আর দ্বিতীয় ফেরেস্তা বলেন, কৃপণের সমস্ত সহ – সম্পত্তি ধ্বংস করে দিন।
৩. হাদীস শরীফে আছে,
“প্রত্যেক দিবসে সূর্যোদয় হইলে মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির উপর সদকা ওয়াজিব হয়ে যায়। যেমন, দুই ব্যক্তির মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, কোন ব্যক্তিকে গাড়ির ওপর উঠাই দেওয়া, কাহারো কোন বস্তু তুলিয়া দেওয়া, মিষ্ট বাল্যালাপ করা, নামাজের জন্য যাওয়াকালীন প্রত্যেক বার পা ফেলা, রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক বস্তু, কন্টক ইত্যাদি দূর করা। এই প্রত্যেকটি এক একটি সদকা।”
বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে,
“প্রত্যেকটি আদর্শ মানুষের শরীরে ৩৬০ টি গ্রান্থি আছে। যে ব্যক্তি উক্ত সংখ্যা পরিমাণ তকবীর, তহমিদ, কালিমা ও ইস্তেগফার পাঠ করিবে, রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করিবে, সৎকর্মের আদেশ এবং অসৎকর্মের নিষেধ করিবে সেই ব্যক্তি সেই দিনস্বীয় আত্মাকে জাহান্নাম হইতে নাজাত করিল।
৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন – রিয়া করার পরিমাণ সামান্য হলেও তাহা একপ্রকার শিরক।
৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন – তিনটি দোষে মানুষ ধ্বংস হয় :-
- নিজ মনে যাহা চায় তাহাই করে
- শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে চলে
- শুধু নিজের কাজ ও নিজের কথা ভালো মনে করে
উপরোক্ত তিনটি দোষ যার ভিতরে আছে সে অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যায়।