আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি ফজল আর করম যে, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নামাজ পড়ার পরে দ্বীনি ফিকির করার মত মজলিসে বসার তৌফিক দান করেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করি বলি “আলহামদুলিল্লাহ”।
দ্বীন আল্লাহ তাআলার নিকট অত্যন্ত প্রিয়, এই দ্বীন দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। সমস্ত নবীগণ (আ:) দুনিয়াতে এসে মানুষদেরকে দ্বীনের দিকে দাওয়াত দিয়েছেন। দ্বীনের মেহনত করতে গিয়ে সমস্ত নবী (আ:) গন অনেক কষ্ট নির্যাতন সহ্য করেছেন। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) দ্বীনের দাওয়াত সর্বপ্রথমে মক্কাতে দিয়েছেন, কিন্তু মক্কার বেশিরভাগ লোক দাওয়াত কবুল করেনি বরং নির্যাতন করেছে, এমন নির্যাতন করেছে যে, নবী (সা:) কে গলা ধাক্কা দিয়েছে, নবী (সা:) যখন নামাজরত অবস্থায় ছিলেন তখন উটের নাড়িভুঁড়ি নবী (সা:) এর মাথায় ঢেলে দিয়েছে। এজন্য নবী (সা:) বদদোয়া দেননি।
মক্কার লোকজন যখন দাওয়াত কবুল করলো না, তখন হুজুর (সা:) তায়েফের হিজরত করলেন। তায়েফের লোকজন নবী (সা:) তোর দাওয়াত কবুল করেনি এমনকি অমানবিক নির্যাতন করেছেন যা আজও ইতিহাসে বিরল…… । পরবর্তীতে হুজুর (সা:) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মদিনায় হিজরত করলেন মদীনাবাসী নবীজি (সা:) কে সর্বদিক দিয়ে নুসরত করেছেন, সাহায্য করেছেন। এর ফলে মদিনা থেকে প্রায় পুরো দুনিয়াতে দ্বীন ছড়িয়েছে, দ্বীন প্রসার লাভ করেছে। এর জন্য আমরা বুঝতে পারি যে, দ্বীন ছড়ানোর জন্য দুইটি জিনিস দরকার আর সেটি হল হিজরত ও নুসরাত।
এজন্য একটি দিনই জামাত আপনাদের মহল্লার মসজিদে অমুক জায়গা থেকে এসেছে। আমাদের জামাতে প্রায় সব শ্রেণীর লোক রয়েছে। আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। আপনারা যদি একটু সময় দিয়ে, রাহবারী করে আমাদেরকে নুসরাত করতেন তাহলে হতে পারে এখান থেকেও দিন ছড়াবে ইনশাআল্লাহ।
কে কে প্রস্তুত আছেন বলেন? আমাদের সাথে তিনদিন বিছানা পত্র নিয়ে থাকার জন্য।
হুযুর (সা:) হিজরতকারী নুসরতকারী উভয় দলকে দোয়া করেছে। আয় আল্লাহ আনসারদের কে মাফ করে দেন, এদের আওলাদের কে মাফ করে দেন, এদের আওলাদের আওলাদের কেও মাফ করে দেন। আমিন।
কে কে আমাদের সাথে মেহনত করার জন্য প্রস্তুত আছেন বলেন ভাই?