আমির সাব জামাতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। পুরো জামাতের সমস্ত জিম্মাদারী দায়ভার সবকিছুই আমির সাবের উপরে থাকে। কোন জামাতের ব্যবস্থাপনা, সময়গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক কর্মবন্টন করা, সাথীদের আরামের ব্যবস্থাপনা করা, বিভিন্ন আমলের ক্ষেত্রে সাথী ভাইদের দিকে নজর রাখা।
সকল বিষয়কে সামনে রেখে সঠিকভাবে জামাতের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমির সাব আখেরাতে মহা মর্যাদার অধিকারী হতে পারেন।
নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিম্মাদারির কথা আলোচনা করা হল :-
- সকল সাথীদের আরামের ব্যাপারে লক্ষ রাখতে হবে। এই ব্যাপারে সকল সাথীদের সাথে পরামর্শ করে সকলের রায়কে মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।
- ২৪ ঘন্টার প্রত্যেকটি সময় কেই কিভাবে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় সাথীদের সাথে পরামর্শ করে তা ভাগ করে নেওয়া।
- কোন সাথীর সাথেই কঠোর আচরণ অথবা শাসনমূলক আচরণ করা যাবে না।
- যেহেতু একটি জামা তে অনেক সাথেই থাকে তাই এক একজন সাথীর হালত একেক রকম, সবার হলো বুঝে হেকমতের এর সাথে কাজ করতে হবে।
- যখন নজম ঠিক করা হবে তখন সকল সাথীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আরে এটার দিকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে একি আমল একজন বারবার না পায়।
- সকাল-সন্ধ্যায় তাজবীহাতের পাবন্দি করাবে এবং মাঝে মাঝে জিকিরের তালকিন করবে।
- সব সাথীকে ৬ নাম্বার সহ অন্যান্য মাসনূন দোয়া গুলো মুখস্থ করাবে।
- জানলে ওয়ালা সাথী দ্বারা না জানলেওয়ালা সাথিদের জোড়া করে দিতে হবে যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি করে শিখতে পারে।
- সাথীদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে হেকমতের সাথে খুব দ্রুত তা সমাধান করে দিতে হবে।
- আল্লাহর ভয় এবং আখেরাতের ফিকির জান্নাত কিভাবে পাওয়া যায় সেই ব্যাপারে বারবার তালকিন করতে হবে যাতে করে আল্লাহর ভয় এবং আখিরাতের ফিকির মনের ভিতরে ঢুকে যায়।
- সাথিদেরকে এমন ভাবে তালকিন করতে হবে যাতে করে তারা সরাসরি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করতে পারে।
- কোন সাথী ভাইয়ের কোন দোষ দেখলে তাকে সরাসরি না বলে। প্রথমে আল্লাহর কাছে দোয়া করে তারপর তাকে একা কি নিয়ে হেকমত এর সাথে বুঝিয়ে বলা।
- আমির সাব সমস্ত সাথী ভাইদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে করে আল্লাহ তালা সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দেন।