নামাজ সমস্ত উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য ফরজ করা হয়েছে। যদি কেহ নামাজ ত্যাগ করে তাহলে সে ফরজ তরক করার গুনাহের শাস্তি পাবে আর ফরজ তরক করার শাস্তি অনেক বেশি। আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে।
নামাজ পাঁচ প্রকার
- ফরজে আইন
- ফরজে কেফায়া
- ওয়াজিব
- সুন্নত
- নফল
ফরজে আইন
ইহা সবার উপরই আদায় করা ফরজ। যেমন :- প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ।
ফরজে কেফায়া
সমস্ত মুসলমানদের উপর ইহা ফরজ কিন্তু কিছু মানুষ এই ফরজ আদায় করলে সকল মুসলমানের উপর থেকে আদায় করা হয়ে যায়।
যেমন :- জানাজার নামাজ।
ওয়াজিব
যদি কোন ব্যক্তি ওয়াজিব তরক করে তাহলে সে ওয়াজিব তরক করার গুনাহের শাস্তি পাবে।
যেমন :- বিতরের নামাজ ও দুই ঈদের নামাজ।
সুন্নত
সুন্নত কি দুই ভাগে বিভক্ত :-
- সুন্নতে মুয়াক্কাদা
- সুন্নতে যায়েদা
সুন্নতে মুয়াক্কাদা
যে সব কাজগুলো রাসূল (সা:) করেছেন এবং উম্মতকে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তাই হল সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
যেমন :- ফজরের পূর্বে দুই রাকাত, যোহরের পূর্বে চার রাকাত করে সুন্নত নামাজ। কেহ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে সে গুনাগার হবে।
সুন্নতে যায়েদা
যে সব কাজগুলো রাসূল (সা.) কখনো কখনো করতে আবার করতেন না। এর বেপারে রাসূল (সা). কখনো কান চাপ দেয়নি সেইগুলোকে সুন্নতে যাযেদা বলা হয়।
সুন্নাতে যায়েদা আদায় করিলে ছওয়াবহ ইবে, আর না পড়িলে কোন গুনাহ নাই।
যেমন :- আছর এবং এশার পূর্বে ৪ রাকাত সুন্নত।
নফল
যাহা নবী করীম (সা.) মাঝে মাঝে পড়িতেন এবং যাহা আদায় করার জন্য উম্মতের উপর কোন আদেশ দেন নাই, তাই নফল। নফল নামাজ পড়লে সওয়াব হইবে না পড়িলে কোন গুনাহ নাই।
যেমন :- এশরাক নামাজ, চাশতের নামাজ ইত্যাদি।
কিছু কথা :- ইসলাম ধর্মই আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম। সুতরাং ইসলামিক কোন কথা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদে জড়াবেন না। ঝগড়া-বিবাদে না জড়িয়ে সরাসরি হক্কানি ওলামায়ে কেরামের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
Note. উপরের কোন লেখায় যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। লেখাগুলো সংশোধন যোগ্য। যদি কোন লেখাতে কোন খটকা লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই হক্কানি ওলামায়ে কেরামের কাছে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিয়ে নিন।