আলহামদুলিল্লাহ ভাই দুনিয়ার সমস্ত মানুষের সুখ-শান্তি, কামিয়াবী, সফলতা, ইজ্জত, সম্মান আল্লাহপাক রেখেছেন একমাত্র দ্বীনের ভিতরে। দ্বীন আল্লাহ তাআলার কাছে অতি প্রিয় মাহবুব। আর এই দ্বীনেকে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে লক্ষাধিক নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। সমস্ত নবী-রাসূলগণ দুনিয়াতে এসে একই কালিমার দাওয়াত দিয়েছে, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)। অর্থ : নাই কোনো মাবুদ আল্লাহ ছাড়া। যারা এই কালিমার দাওয়াত গ্রহণ করেছে তারা কামিয়াব হয়েছেন, আর যারা গ্রহণ করে নাই তারা নাকামিয়াব, অপদস্ত, ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সমস্ত নবী-রাসূলগণ এই দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক কষ্ট মোজাহেদা করছেন। কিন্তু সব থেকে বেশি কষ্ট মুজাহাদা করেছেন আমাদের নবী (সা.)। নবীজি বলেছেন দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে আমাকে যে পরিমান কষ্ট দেওয়া হয়েছে তা অন্য কোন নবীকে দেওয়া হয় নাই, এবং দাওয়াতের ময়দানে আমাকে যে পরিমাণ ভয় দেখানো হয়েছে তা অন্য কোন নবীকে দেখানো হয় নাই।
হযরত ঈসা (আঃ) কে যখন আল্লাহ তাআলা আসমানে উঠিয়ে নেন, এবং আমাদের নবী নবুয়ত পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বছর দাওয়াতের কাজ বন্ধ ছিল। এই অল্প সময় দাওয়াতের কাজ বন্ধ থাকার ফলে, ওই যুক্তি আইয়ামে জাহেলিয়াতে পরিণত হয়েছিল তারা ঐ যুগের সব থেকে খারাপ বরবর মানুষ ছিল। তারা নিজেদের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিত। তারা পবিত্র কাবা শরীফে ৩৬০ মূর্তি ঢুকিয়ে বিবস্ত্র হয়ে তাওয়াফ করত এবং এটাকে নেকীর কাজ মনে করত। আমাদের নবী যখন তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন এবং তারা দাওয়াত মেনে নিলেন, তখন তারা সোনার মানুষ এ পরিণত হয়ে গেলেন। বলা হয় যে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আর এত ভাল মানুষ কখনোই আসবেনা।
জাহেলিয়াতের যুগের মানুষ গুলো ভালো হয়েছে দাওয়াত দেওয়ার ফলে। তাই দ্বীনের জন্য দাওয়াত খুবই জরুরী। দ্বীনের জন্য দাওয়াত এত জরুরি যেমন, মাছের জন্য পানি জরুরী এবং মানুষের দেহের জন্য মাথা যেমন জরুরি দ্বীনের জন্য দাওয়াত তার থেকেও বেশি জরুরি। তাই দাওয়াত থাকবে তো দ্বীন থাকবে, দ্বীন থাকবে তো আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে টিকিয়ে রাখবে। দাওয়াত থাকবে না তো দ্বীনও থাকবে না, দ্বীন যদি না থাকে তাহলে আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াকে ধ্বংস করে দিবেন।
এই দাওয়াত দিতে আমরা সকলেই রাজি আছি না ইনশাআল্লাহ।
দাওয়াতের কাজে অনেক লাভ রেখেছেন আল্লাহ তাআলা :
- দাওয়াতের কাজে এক সকাল-বিকাল ব্যয় করলে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার সকল নেক আমলের থেকে উত্তম বদলা দান করেন।
- প্রতি কদমে ৭০০ গুনা মাফ করেন ৭০০ নেকি দান করেন এবং ৭০০ জান্নাতের মর্তবা বাড়িয়ে করে দেন।
- দাওয়াতের কাজে বের হলে পায়ের ধুলা বালি লাগবে ওই পায়ে জাহান্নামের ধূয়াও একত্রিত হবে না।
- দাওয়াতের কাজে বের হয়ে যে কথা বলা হয় তাহার প্রতি কথার বিনিময় এক এক বছরের ইবাদতের নেকি দান করেন।
এত লাভ এর কাজ সকলেই করতে রাজি আছি তো ভাই।
সকল কাজের একটি নির্দিষ্ট তরতীব থাকে তেমনি করে এই কাজের ও একটি নির্দিষ্ট তরতীব রয়েছে।
একটি জামাতের দুটি অংশে হবে, একটি অংশ মসজিদের ভিতরে এবং আরেকটি অংশ মসজিদের বাইরে কাজ করবে।
মসজিদের ভিতরে চার শ্রেণীর লোক থাকবে:
- একজন মুতাকাল্লিম ভাই থাকবে যিনি ঈমান একীনের কথা বলবেন।
- কিছু মামুর ভাই ঈমান ও একিনের কথা শুনবেন।
- এক ভাই দোয়া এবং জিকিরে মশগুল থাকবেন।
- এক ভাই এস্তেকবালে থাকবেন।
মসজিদের বাইরে চার শ্রেণীর লোক থাকবে :
- একজন রাহবার ভাই থাকবেন (স্থানীয় হইলে ভালো হয়)।
- একজন মুতাকাল্লিম ভাই থাকবেন (মুতাকাল্লিম ভাই তিন কথার উপরে দাওয়াত দিবেন তাওহীদ আখিরাত রিসালাত। দাওয়াত একেবারে ছোট হবে না একেবারে বড় হবে না)।
- কিছু মামুর ভাই থাকবেন যারা সর্ব অবস্থায় জিকিরে থাকবেন, নজরের হেফাজত করবেন, সালাম দিবেনা এবং সালামের উত্তর দিবেন না। যখন মুতাকাল্লিম ভাই দাওয়াত দিবে তখন দাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনবেন এবং মনে মনে এই দোয়া করবেন যে যাকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে সেজন্য মসজিদ মুখি হয়ে যায়।
- একজন জিম্মাদার ভাই থাকবেন যিনি পুরো জামাতকে পরিচালনা করবেন। যদি জামাত এর মধ্যে কোন বেউসুলি হয় তাহলে জামাতকে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে পুনরায় পরিচালনা করতে পারেন না হয় মসজিদের দিকে ফিরেও নিয়ে আসতে পারেন।
আমিরসাব, জামাত গঠন করে দিলে ভালো হয়।
Weldone
ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank. But apnader aro valo kore research kore post korte hobe.
ধন্যবাদ আপনাকে পরামর্শের জন্য।