নবীজি (সা.) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওনাকে কেউ ডাকলো, “ইয়া রাসুলুল্লাহ”! নবীজি (সা.) ডানপাশে দেখলেন অতঃপর বাম পাশে দেখলেন, দেখলেন কেউই নেই। আবার তাকে কেউ ডাকলো, “ইয়া রাসুলুল্লাহ” তখন দেখলেন একটি হরিণ ওনাকে ডাকছে এবং সেই হরিণটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। নবীজি (সা.) নিকটে গিয়ে বললেন, কি হয়েছে? তখন হরিণটি বলল, ‘আপনার সাহাবী আমাকে ধরে এনেছে, আপনি আমার ভাগ্যের উপর রাজি (অর্থাৎ আল্লাহ আমার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন আমি তাতেই রাজি)। কিন্তু আমার ছোট ছোট বাচ্চা আছে তারা ক্ষুধার্ত।
আপনি যদি আমাকে ছেড়ে দিও তাহলে আমি তাদেরকে দুধ পান করিয়ে এসে পড়ব। নবীজি (সা.) বললেন, “তুমি যদি না আসো, তাহলে? তখন হরিণটি বলল, “যদি আমি ফিরে না আসি তাহলে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুনে ফেলে দিবে যেভাবে মানুষদেরকে দেয়।” নবীজি (সা.) সেই হরিণটির দড়ি খুলে দিলে এবং সেখানে বসে রইলেন। হরিণটি দৌড় দিল এবং পাহাড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ল।
কিছুক্ষণ পর নবীজি (সা.) দেখলেন সেই হরিণটি পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসছে। নিচে নেমে এসে বলল, “ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি হাজির”। নবীজি (সা.) সেই হরিণটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধলেন এবং বসে রইলেন। অল্প সময়ে পরেই সেই সাহাবী আসলেন। যিনি এই হরিনটিকে শিকার করেছিলেন। সেই সাহাবী নবীজিকে দেখে খুশি হয়ে গেল এবং বললেন, ” আপনার জন্য কি খেদমত করতে পারি “ইয়া রাসুলুল্লাহ”? নবীজি (সা.) বললেন, আমার ছোট্ট একটা কাজ আছে।
সাহাবী জিজ্ঞাসা করলে কি? নবীজি সা বললেন, এই হরিণটি আপনার কাছ থেকে আমি হাদিয়া চাচ্ছি। তখন সাহাবী বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমরা তো আপনার জন্য জান কোরবান করতে রাজি আছি, আর আপনি শুধু হরিন চাচ্ছেন?” তখন নবীজি (সা.) বললেন, “আমাকে শুধ এই হরিণটি দিয়ে দাও। সাহাবী হরিণটিকে দিয়ে দিলেন। নবীজি (সা.) হরিণের দড়ি গলা থেকে খুলে দিয়ে বললেন, “যাও তোমার বাচ্চাদের কাছে যাও।”
Note. সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস করে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য সত্যবাদী হওয়া খুবই জরুরী।