সমস্ত প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কেয়ামতের দিন যখন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে পুরো দুনিয়ার মধ্যে আর একটি প্রাণী ও অবশিষ্ট থাকবে না। তখন আল্লাহ তাআলা আজরাইল (আ:) ডেকে বলবেন – আজরাঈল! আমি দুনিয়াতে তোমাকে জীবনের জান কবজ করার জন্য যত শক্তি দিয়েছিলাম আজ তার দশগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছি। দুনিয়াতে তুমি যত রুহ কবজ করার সময় প্রাণীকে যত কষ্ট দিয়েছো তার থেকেও দশগুন কষ্ট বেশি দিয়ে আজ তুমি ইবলিসের জান কবজ করবে।
আল্লাহ তাআলার আদেশে আজরাইল (আ:) দোযখ থেকে ৭০ হাজার আজাবের ফেরেশতা এবং অসংখ্য আগুনের শিকল নিয়ে ইবলীসের জান কবজ করার জন্য যাবেন।
ইবলীস যখন বুঝতে পারবে যে আজরাইল (আ:) তার জান কবজ করার জন্য এসেছে, তখন সে দ্রুতগতিতে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটাছুটি করতে থাকবে। আজরাইল (আ:) তাকে সহজেই ধরতে পারবেনা। ইবলিস কে ধরতে না পেরে আজরাইল (আ:) ভিশন রাগান্বিত হয়ে এমন জোরে হুংকার দিবেন যদি দুনিয়ার মধ্যে মানুষ বা জীন জাতি থাকতো তাহলে এই ভীষণ হুঙ্কারের শব্দে সবাই মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ত।
ইবলিস ভয় দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছুটাছুটি করতে করতে শেষ পর্যন্ত হযরত আদম (আঃ) এর কবর নিকট এসে দাড়াবে। দাঁড়িয়ে বলবে – হে আদম! তোমার জন্যই আজ আমার এরকম খারাপ অবস্থা। এই সময়ের মধ্যেই আজরাঈল (আ:) তার দল নিয়ে এসে ইবলিসকে পাকড়াও করে সমস্ত কষ্ট আজাবের সাথে তাহার জান কবজ করে নিবেন।
Note. আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার মধ্যে যত কিছু দেখা যায় বা না দেখা যায় সব কিছুরই মালিক। একদিন তিনি এ সবকিছু ধ্বংস করে দেবেন। পাহাড়-পর্বত নদী-নালা সব।
আমাদের জীবদ্দশায় যেই ইবলিস শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আমরা বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত হচ্ছি এই ইবলিশ শয়তানকেও একদিন আল্লাহতাআলা ধ্বংস করে দিবেন।
চলেন ভাই, আজ থেকে সবাই খাঁটি মনে তওবা করে আল্লাহর দিকে যাই, আল্লাহর এবং নবী করিম (সাঃ) হুকুম আহকাম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করি।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।