আজরাইল (আ:) মুসা (আঃ) এর জান কবজ করার জন্য তার সামনে এসে হাজির হলেন। তখন মুসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন তুমি কে, আমার কাছে কেন এসেছ? এই প্রশ্নের জবাবে আজরাইল (আ:) বললেন, “হে আল্লাহর নবী”! আমি আজরাইল। আপনার রুহ কবজ করতে এসেছি। একথা শুনে হযরত মুসা (আঃ) রাগে তার গালে এমন জোরে থাপ্পর মারলেন যার ফলে আজরাইল (আ:) এর একটি চক্ষু বের হয়ে আসলো।
তারপর হযরত আজরাইল (আ:) আল্লাহর দরবারে গিয়ে বললেন, ইয়া রাব্বুল আলামিন আপনি কার কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন আপনার বান্দা তো আমাকে চড় মেরে কানা করে দিয়েছে। তখন আল্লাহ তায়ালা আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামের চক্ষুকে পুনরায় ঠিক করে দিয়ে বলল তুমি আবার যাও এবার যাওয়ার সময় একটি ষাঁড় সঙ্গে করে নিয়ে যাও তার কাছে গিয়ে বলবে, তুমি যদি এ দুনিয়ায় আরো জীবিত থাকতে চাও তাহলে ষাড়টির পিঠে হাত দাও।
হাত দেওয়ার পরে যতটি পশম তোমার হাতের নিচে আসবে তুমি তত বছর জীবিত থাকতে পারবে। আল্লাহর হুকুম মতন আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গে করে একটি ষাড় নিয়ে পুনরায় মুসা (আ:) নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হুজুর আপনি যদি এই দুনিয়ায় আর জীবিত থাকতে চান, তাহলে এই ষাড়টির পিঠে হাত দিন। আপনার হাতে নিচে যতগুলো পশম আসবে আপনি এই দুনিয়ায় তত বছর জীবিত থাকতে পারবেন।
এই কথা শুনে মুসা আ: জিজ্ঞাসা করলেন। এর পর কি আবার তুমি আমার জান কবজ করতে আসবে? মালাকুল মউত প্রশ্নের উত্তরের জবাব দিলেন হ্যা! আমি আবার আপনার জান কবজ করার জন্য আসব। মুসা আঃ বললেন, তোমাকে যদি জান কবজ করার জন্য পুনরায় আসতে হয় তবে দ্বিতীয়বার কষ্ট করে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। এখনি জান কবজ করে নিয়ে যাও।