পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়বেন তাহলে অবশ্যই টেক্সটাইল কি, টেক্সটাইলের বেসিক ধারণা, এবং টেক্সটাইলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ সেকশন সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
উপরের যে চিত্রটি দেখতে পারছেন, এই চিত্রটির মধ্যে যা যা আছে আজকে তা নিয়ে আলোচনা করব।
টেক্সটাইল কি
সর্বপ্রথম টেক্সটাইলকে বুনুন কাপড় বা ওভেন কাপড় দিয়ে বোঝানো হতো। কিন্তু বর্তমানে টেক্সটাইলের ব্যাপক অনেক বেশি। র মেটারিয়াল অর্থাৎ কাঁচামাল মানে হচ্ছে তুলা থেকে শুরু করে একটি রেডিমেট পোশাক তৈরি হতে মাঝখানে যতগুলো প্রসেস পড়বে সবগুলোই টেক্সটাইলের আওতায় পড়ে।
টেক্সটাইলের গুরুত্ব
টেক্সটাইলের গুরুত্ব অপরিসীম। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ একটি শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তার মৃত্যু পর্যন্ত প্রায় অধিকাংশ সময়েই টেক্সটাইলের ব্যবহার হয়। কারণ বস্ত্র মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি। আপনি নিজেই দেখেন যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে তখনও বস্ত্রের প্রয়োজন হয় এবং যখন একটি মানুষ মারা যায় তার শেষ কার্য সম্পন্ন করার জন্য বস্ত্রের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ের সবাই টেক্সটাইলে সব ধরনের পণ্য ব্যবহার করে তাই টেক্সটাইলের গুরুত্ব অপরিসীম।
উপরের চিত্র দেওয়া প্রতিটি সেকশনের নিয়েই আলোচনা করব আলোচনার মধ্যে প্রতিটি সেকশনে কি কি কাজ করা হয় তা জানতে পারবেন। যদি প্রতিটি সেকশনের ভিডিও দেখতে চান যে কোন সেকশনে কি কাজ হয় তাহলে অবশ্যই নিচে ইউটিউব ভিডিও দেওয়া রয়েছে দেখে নিতে পারেন। ভালো লাগলে অবশ্যই চ্যানেলটি লাইক এবং সাবস্ক্রাইব করবেন।
টেক্সটাইলের বেসিক ধারণা
স্পিনিং
স্পিনিং সেকশনে মূলত সুতা প্রস্তুত করা হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক স্পিনিং মিল রয়েছে। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতেই সুতা তৈরীর কাঁচামাল দিয়ে সুতা তৈরি করা হয়। আর সুতা মূল উপকরণ হচ্ছে ফাইবার। যেমন:- কটন, জুট, ফ্লাক্স ইত্যাদি। টেক্সটাইল সেক্টরের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় কটন ফাইবার। কটন হচ্ছে প্রাকৃতিক ফাইবার বা তুলা।
এই কটন বা তুলা স্পিনিং সেকশনে এনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুতা প্রস্তুত করা হয়। এই কথা দিয়ে আমরা কি বুঝতে পারলাম যে স্পিনিং সেকশনের ইনপুট ফাইবার এবং আউটপুট হচ্ছে তুলা।
ফেব্রিক
ফেব্রিক সেকশনে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা হচ্ছে ইনপুট আর আউটপুট হচ্ছে ফেব্রিক অর্থ কাপড়। এর মানে হচ্ছে ফেব্রিক সেকশনে সুতা প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাপড় হয়ে বের হয়।
ফেব্রিক দুইভাবে তৈরি করা হয়
- উইভিং প্রক্রিয়া
- নিটিং প্রক্রিয়া
উইভিং প্রক্রিয়া
আমরা সাধারণত শার্ট প্যান্ট বিছানার চাদর ইত্যাদি ব্যবহার করি এগুলো উইভিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।
নিটিং প্রক্রিয়া
আমরা যে পোলো শার্ট অর্থাৎ টি শার্ট গেঞ্জি, মোজা ইত্যাদি ব্যবহার করি এগুলা নিটিং প্রক্রিয়াতে তৈরি করা হয়।
নোট :- আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে উইভিং এবং নিটিং প্রক্রিয়ার ভিডিও দেওয়া রয়েছে চাইলে দেখে নিতে পারেন। (ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করবেন)
ওয়েট প্রসেসিং
ওয়েট প্রসেসিং এর ইনপুট হচ্ছে ফেব্রিক এবং আউটপুট ও ফেব্রিক। কিন্তু মাঝখানে কিছু প্রসেসিং করা হয় যেমন ডাইং এবং প্রিন্টিং। ফেব্রিক যখন প্রস্তুত করা হয় তখন ফেব্রিক গ্রে কালারের থাকে ডাইং/প্রিন্টিং করে এর রং পরিবর্তন করা হয়।
গার্মেন্টস
ফেব্রিককে ওয়েট প্রসেসিং করার শেষে ফিনিশড ফেব্রিক গার্মেন্টসে পাঠানো হয়। গার্মেন্টস ফেব্রিক কে বায়ারের নির্দেশনা অনুযায়ী বা মেজারমেন্ট অনুযায়ী কাটিং করে কাটিংকৃত ফেব্রিক সুইং করে পোশাকের রূপান্তর করা হয়। মোটকথা ওয়েট প্রসেসিং এর শেষে যেই প্রসেসগুলো হয় সবগুলো গার্মেন্টস এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পোশাকে ফিনিশড করে পড়ার উপযোগী করে তোলা গার্মেন্টস এর কাজ।
আশা করি এই চারটি সেকশনের ধারণা মোটামুটি সবাইকে দিতে পেরেছি যদি এই সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল অথবা আমাদের ব্লগের নিচে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।
লেখাটি সুন্দর