শুধু পোষ্ট ভিউ করে আজ থেকেই ইনকাম শুরু করুন। ক্লিক করে জেনে নিন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ব্লক প্রিন্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো।
ব্লক প্রিন্টিং
ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায় যে ব্লক প্রিন্টিং এর প্রচলন সর্বপ্রথম ভারত ও চীনে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই ব্লকের সাহায্যে কাপড় প্রিন্টিং করার পদ্ধতি চালু রয়েছে। বর্তমানে ব্লক প্রিন্টিং পদ্ধতি অনেক সহজ ও উন্নত মানের হয়েছে কিন্তু এর নীতি এখনও আগের মতোই রয়েছে।

যখন সর্বপ্রথম ব্লক প্রিন্টিং এর প্রচলন শুরু হয়েছিল, তখন সেটা অনেকটা বর্তমানে অফিসিয়াল কাজে যে রাবার স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয় তার মতন দেখতে ছিল। যেখানে প্রিন্টিং শিল্পীরা কাঠের গায়ে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন চিত্র ও নকশার প্রতিচ্ছবি খোদাই করত। খোদাইকৃত পৃষ্ঠে প্রিন্টিং পেস্টে আবৃত করে কাপড়ের উপর ছাপ মেরে কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ফুটিয়ে তুলত।
ব্লক প্রিন্টিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়
- হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টিং
- মেশিন ব্লক প্রিন্টিং
হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টিং

কাঠের ব্লকের সাহায্যে হাত ধরা কাপড়ে প্রিন্ট করা হয় বলে তাকে হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টিং বলা হয়।
মেশিন ব্লক প্রিন্টিং
মেশিন দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক প্রিন্টিং করা হয় তাই হল মেশিন ব্লক পৃন্টিং। মেশিন ব্লক পৃন্টিং এ একসাথে তিনটি রঙের বেশি প্রিন্ট করা সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রিন্টিং খুব তাড়াতাড়ি হয়। এ মেশিনের প্রচলন বর্তমানে নেই বললেই চলে। এরকম প্রিন্টিং মেশিনকে পেরোটাইন প্রেস মেশিন বলা হয়।
ব্লক প্রিন্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- সহজ পদ্ধতিতে প্রিন্টিং করা যায়।
- ব্লক প্রিন্টিং খুব কম খরচেই হয়ে যায়।
- যেরকম ইচ্ছা ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব।
- সূক্ষ্ম সুন্দর ডিজাইন পাওয়া যায়।
- ইচ্ছামত কালার বাছাই করা যায়।
অসুবিধা
- ব্লক প্রিন্টিং খুবই ধীর গতিসম্পন্ন।
- কাপড়ে প্রিন্টিং করার সময় নির্দিষ্ট ডিজাইন লাইনের থেকে আঁকা বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ব্লক ডিজাইন করা খুব কঠিন।
- সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হাতের সাহায্য করা হয় তাই ব্লক প্রিন্টিং করার শ্রমসাধ্য।
টেক্সটাইলের ক্যামিকেল কিন্তু যোগাযোগ করুন মিল্কি ফেব্রিক্সসে।
যোগাযোগ নাম্বার : ০১৮৭২৪২৯২২৮
ধন্যবাদ।