আমাদের দেশে অনেকেই বর্তমানে পড়াশোনার পর বেকার বসে আছে, কোন চাকরি হচ্ছে না, বা চাকরি করতে ইচ্ছা করছে না কিন্তু ব্যবসার প্রতি ইচ্ছা রয়েছে তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট।
বর্তমানে ইয়াং জেনারেশন চাকরির দিকে না ঝুঁকে অনেকেই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে, ব্যবসা করে খুব সহজেই সফল হওয়া যায়। ব্যবসা অনেক ধরনের হয়েছে কিন্তু বুটিক তার মধ্যে অন্যতম, কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বুটিক হাউজ এর চাহিদা অনেক বেশি। তার সাথে সাথে এর ভবিষ্যৎ ও খুব ভালো।
সকল প্রকার ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ব্যবসার ধরণটা বুঝতে হবে, ব্যবসার ধরনটা বুঝার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে পারেন (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং, প্রশিক্ষণ) ইত্যাদি। আপনি যে কোনো ব্যবসায়ী করতে চান না কেন সেই ব্যবসা সম্পর্কে আপনার অনেক জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার ব্যবসা সম্পর্কে যত বেশি জ্ঞান থাকবে সফল হওয়ার চান্স তত বেশি।
বুটিক হাউজ বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার কারণে, পোস্টটি একটু বড় হয়েছে তাই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
বুটিক হাউজ করার জন্য আপনাকে যে যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
- পরিকল্পনা গ্রহণ
- প্রশিক্ষণ
- স্থান নির্বাচন
- প্রয়োজনীয় উপকরণ
- সরকারি লাইসেন্স
- শ্রমিক নিয়োগ
- পোশাকের ধরন
- বাজারজাতকরণ
- প্রচার প্রচারণা
পরিকল্পনা গ্রহণ

ব্যবসাটি কিভাবে গুছিয়ে গাছিয়ে করবেন অর্থাৎ, কোথায় করলে ব্যবসা লাভজনক হবে, কত টাকা মূলধন লাগবে, ব্যবসায়ী কাজে জিনিসপত্র কোথায় পাওয়া যাবে। মানে হচ্ছে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার সামনে কি কি বাধা আসতে পারে তার থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তার পরিকল্পনা আপনাকে প্রথমেই নিতে হবে।
প্রশিক্ষণ

প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ব্যাবসায়িক লাইনের যার যত বেশি অভিজ্ঞতা তার সফলতাও ততবেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বুটিক হাউজের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণগুলো স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী আকারে দেওয়া হয়। কোর্স ফি ২০০০-৫০০০ টাকার মধ্যেই থাকে।
আপনাদের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোর লিংক ক্লিক অপশনে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো
বেসিক – প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুকতে – ক্লিক করুন।
ঠিকানা: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, ১৩৭-১৩৮, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
ঘর-কন্না – প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা
ঠিকানা: ৬৯, ডলফিন গলি, কলাবাগান, ঢাকা।
প্রতিবেশী ট্রেনিং সেন্টার – প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা
ঠিকানা: সেকশন-৬, ব্লক-টি, বাড়ি-২, রোড-৩৫, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।
স্থান নির্বাচন

স্থান নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেখানে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি সেখানেই স্থান নির্বাচন করলে ভালো হয়। তাছাড়াও স্থান নির্বাচন ব্যবসার উপরে অনেক প্রভাব ফেলে তাই খুবই গুরুত্বের সাথে স্থান নির্বাচন করবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ

বুটিক হাউজ এর জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় উপকরণ হচ্ছে সেলাই মেশিন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সেলাই সুতা, সেলাই এক্সেসরিজ, গার্মেন্টস অ্যাকেসরিজ ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। এখানে দেওয়া সবগুলো উপকরনই গাউছিয়া, গুলিস্তানের পাইকারি মার্কেট এ পেয়ে যাবেন।
সরকারি লাইসেন্স

সহকারী লাইসেন্স হচ্ছে বৈধতার প্রমাণ।বুটিক হাউস দেওয়ার ক্ষেত্রেও সহকারী লাইসেন্স এর প্রয়োজন রয়েছে। প্রথমত আপনাকে একটি ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে যা আপনি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিয়ে করে নিতে পারবেন।
সরকারি লাইসেন্স নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ বর্তমানে চা দোকান দেওয়ার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়।
শ্রমিক নিয়োগ

আপনার ব্যবসার ধরনের উপরে ডিপেন্ড করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। ব্যবসা যদি বড় পরিসরে হয় তাহলে বেশি শ্রমিক নিয়োগ আর যদি ছোট পরিসরে হয় তাহলে দু-একজন শ্রমিক নিয়োগ দিলেই হবে (অবশ্যই দক্ষ শ্রমিক হতে হবে)।
পোশাকের ধরন

পোশাকের ধরন খুবই গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট দখল করার জন্য। আপনাকে যাচাই করতে হবে বর্তমানে কোন ধরনের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়াও আপনার পোশাকের মান যদি ভাল হয় তাহলে আপনি খুবই সহজেই এই ব্যবসাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
বাজারজাতকরণ

বাংলাদেশের বাইরে বুটিক হাউজের পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি। তবে তা নির্ভর করে আপনার পোশাকের ডিজাইন এবং গুণগত মানের উপর। ব্যবসাটি তখনই খুব দ্রুত পরিসরে বাড়বে যখন আপনি দাম কম কিন্তু পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন।
দেশে পোশাক বিক্রির স্থান
বাংলাদেশের অনেক পাইকারি মার্কেট রয়েছে, গাউছিয়া, গুলিস্থান, চকবাজার, নিউমার্কেট ইত্যাদি আরো অনেক স্থানেই পাইকারি মার্কেট রয়েছে। পাইকারি মার্কেট গুলোতে যোগাযোগ রাখলেই পণ্য বিক্রি করা খুব সহজ হবে।
প্রচার প্রচারণা

ব্যবসা শুরু করার পরে প্রচার প্রচারণা খুবই প্রয়োজনীয়। যত বেশি প্রচার প্রচারণা হবে আপনার ব্যবসা কত দ্রুত বাড়বে। ব্যবসায় নামার আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে নামাই ভালো। ঢাক-ঢোল বলতে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব জানিয়ে ব্যবসায় নামবেন।
প্রচারণার মাধ্যমগুলো হতে পারে
- লিফলেট
- ম্যাগাজিন
- পত্রপত্রিকা
- টেলিভিশন
- বিলবোর্ড ইত্যাদি।
যারা বুটিক হাউস দিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য কিছু কথা
সব ধরনের ব্যবসা প্রথমে দাঁড়া করানোর জন্য অনেক কষ্ট/পরিশ্রম করতে হয়। হয়তোবা আপনার জন্য এরকম অনেক বাধা বিপত্তি আসবে, কিন্তু হার মানবেন না। ব্যবসা শুরু করার প্রথমে আপনাকে অনেকে অনেক সমস্যা দেখাবে, কিন্তু খুব কম মানুষই হবে যে আপনাকে দেখাবে ব্যবসায় অনেক লাভ আছে। সুতরাং কারো কথা না শুনে নিজের কথা শুনুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক।
টেক্সটাইল সংক্রান্ত বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
বাংলাদেশের সেরা বুটিক হাউসগুলো সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
ফ্যাশনের বিভিন্ন অ্যাক্সেসরিজ সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
ব্লক প্রিন্টিং সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
very good post, pore valo laglo.
valo valo bornona korcen…..
tnq vai.
very good post, pore valo laglo.
valo valo bornona korcen…..
tnq vai.