শুধু পোষ্ট ভিউ করে আজ থেকেই ইনকাম শুরু করুন। ক্লিক করে জেনে নিন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা টেক্সটাইল বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশনের বেশির ভাগই গার্মেন্টস সম্পর্কে কম অথবা বেশি ধারণা রাখে। যারা ইয়াং তাদের মাঝে জব থেকে বেশি আগ্রহ দেখা যায় ব্যবসার মধ্যে আর বাংলাদেশের মধ্যে তো টেক্সটাইল সেক্টরের বিজনেস শুরু খুবই সহজ কারণ এর চাহিদা অনেক বেশি।

ছোট পরিসরে বিজনেস শুরু করার জন্য কিছু আইডিয়া দেওয়া হল।
টেক্সটাইল বিজনেস আইডিয়া
- ছোট আকারের বুটিক হাউজ তৈরি করা
- গার্মেন্টসের পাইকারি ব্যবসা
- ওয়াশিং প্লান্ট
- বায়িং হাউজ এজেন্সি
- ডাইস ক্যামিকেলের ব্যবসা
- স্টক লটের বিজনেস
ছোট আকারের বুটিক হাউজ তৈরি করা

বুটিক হাউজ মোটামুটি গার্মেন্টস এর মতই, কিন্তু বুটিক হাউসে অল্প কিছু মেশিন দ্বারা কাজ করা হয় এবং গার্মেন্টস এর মত সুবিধাও থাকে না।
বুটিক হাউজ মাধ্যমে গার্মেন্টস বিজনেস শুরু করা খুবই সহজ। বুটিক হাউজ তৈরি করার জন্য তেমন বেশি খরচ নেই, শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার প্রয়োজন তাছাড়া অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন বিজনেস শুরু করা অনেকটা বোকামি।
বুটিক হাউজ তৈরি করার জন্য অভিজ্ঞতা
- সেলাই কাজ জানতে হবে
- প্রোডাকশন প্ল্যানিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে
- আর সেলিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
উপরে দেওয়া তিনটি অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা থাকলেই হবে। প্রথমে কিছু মেশিন কিনতে হবে তার পাশাপাশি মেশিনগুলোর জন্য কিছু অভিজ্ঞ টেইলার্স নিয়োগ করতে হবে। পোশাক তৈরি করার পর খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতার নিকট সেল করা যেতে পারে।
পণ্য হিসাবে বেছে নিতে পারেন
- ট্রাউজার
- শার্ট প্যান্ট
- টি-শার্ট
- বোরকা, ইত্যাদি।
গার্মেন্টসের পাইকারি ব্যবসা

গার্মেন্টসে পাইকারি ব্যবসা করা খুবই সহজ, এতে করে খুবই তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়া যায়। যে লোকাল কোম্পানিগুলো পোশাক উৎপাদন করে তার থেকে পোশাক কিনে, বিভিন্ন ছোট বড় দোকানে পাইকারি বিক্রি করা যেতে পারে।
ওয়াশিং প্লান্ট

বাংলাদেশের অনেক ছোট ছোট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। ছোট ছোট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সাধারনত ওয়াশিং প্লান্ট থাকেনা। আর গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য ওয়াশিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ওয়াশিং প্লান্ট নিয়ে ব্যবসা দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ওয়াশিং প্লান্ট এর বিজনেস করতে গেলে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
বায়িং হাউজ এজেন্সি

বায়িং হাউজ হলো, পোশাকের এক্সপোর্ট শিল্পের লেনদেনর একটি মাধ্যম। আপনার সাথে যদি কোন বায়ারের খুব ভালো সম্পর্ক থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসা করে করে লাভবান হবেন, কারণ বাইং হাউজ এজেন্সিগুলো চলেই বায়ারের উপরে।
যদি আপনি কোন বায়ার এর অর্ডার নিতে পারেন তা কোন একটি কোম্পানি দ্বারা অর্ডারকৃত মাল প্রস্তুত করে সরবরাহ করতে পারবেন। বায়িং হাউজ এজেন্সি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে ডেভলপমেন্ট ও স্যাম্পল রুম রাখতে হবে। এর জন্য অনেক দক্ষ লোকদের সাথে টিম করে কাজ করতে হবে।
ডাইস ক্যামিকেলের ব্যবসা

বাংলাদেশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ বড় এবং ছোট টেক্সটাইল শিল্প কারখানা রয়েছে। প্রত্যেকটি টেক্সটাইল শিল্প কারখানার প্রতিনিয়ত ডাইস ও কেমিকেলের প্রয়োজন। তাই ডাইস ও কেমিক্যাল এর ব্যবসা করা আমাদের দেশে খুবই সহজ। কারণ এর চাহিদা প্রচুর। আপনি চাইলে ছোট পরিসরে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কোন একটা ছোট কোম্পানির সাথে আলাপ করে খুব সহজেই ডাইস ক্যামিকেলের ব্যবসা করতে পারবেন।
স্টক লটের বিজনেস
স্টকলট বিজনেস সম্পর্কে আমরা আগে একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
স্টকলট বিজনেস সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক।
গার্মেন্টস ডিফেক্ট সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
সুইং মেশিনের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
গার্মেন্টস প্রোডাক্টের কোয়ালিটি চেনার উপায় জানতে – ক্লিক করুন।
গার্মেন্টস স্যাম্পলে যে সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায় জানতে – ক্লিক করুন।
Good post