এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা প্রিন্টিং পেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো।
কাপড় রং করতে যেমন রঙের দ্রবণ প্রস্তুত করতে হয় তেমনি ফেব্রিক প্রিন্টিং করার জন্য প্রিন্টিং পেস্ট তৈরি করা হয়। তবে প্রিন্টিং পেস্ট তৈরি করার জন্য ভালো এবং দক্ষ কর্মচারীর প্রয়োজন। প্রিন্টিং পেস্ট সাধারনত, প্রিন্টিং এর স্টাইল, ফেব্রিক এর ধরন ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে প্রিন্টিং পেস্ট প্রস্তুত করা হয়।

প্রিন্টিং পেস্টের উপাদানগুলো
- পিগমেন্টস (pigments)
- থিকেনার (Thichener)
- ক্যাটালিস্ট (Catalyst)
- এসিড ও অ্যালকালি (Acid and Alkali)
- ওয়েটিং এজেন্ট (wetting Agent)
- ক্যারিয়ার এজেন্ট (Carrier Agent)
- অক্সিডাইজিং এন্ড রিডিউসিং এজেন্ট (Oxidizing and Reducing Agent)
- ডিফোমিং এজেন্ট (Defoaming Agent)
- ডিসপাসিং এজেন্ট (Dispersing Agent)
প্রিন্টিং পেস্ট তৈরি ক্ষেত্রে, উপরের উপাদানগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য, প্রিন্টিং পেস্ট যোগ করা হয়। সাধারনত প্রিন্টিং কিরকম হবে, প্রিন্টিং এর ধরন কি, কিরকম ফেব্রিক এগুলোর উপর নির্ভর করেই রাসায়নিক দ্রব্য প্রিন্টিং পেস্টে যোগ করা হয়।

পিগমেন্টস (pigments)
আমরা সবাই জানি, পিগমেন্টে ক্রোমোফোর আছে তাই তা যে বস্তুর উপর প্রয়োগ করা হবে ঐ বস্তুর রাসায়নিক ও ভৌত গুনাগুনের পরিবর্তন হবে এবং বস্তু আলোক রশ্মির মধ্যে প্রতিফলিত হয়ে রঙিন দেখাবে তাই হল পিগমেন্ট/ডাই স্টাফ।
থিকেনার (Thichener)
থিকেনার প্রিন্টিং পেস্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
থিকেনার হচ্ছে উচ্চ আণবিক ওজন বিশিষ্ট বিশিষ্ট যৌগ, থিকেনারের সাথে পানি মিশিয়ে ঘন আঠালো পেস্ট তৈরি করে। থিকেনারের এর কারণেই কাপড়ের প্রিন্টিং ডিজাইন খুবই সুন্দর এবং নিখুঁত হয়ে ফুটে উঠে।
ক্যাটালিস্ট (Catalyst)
কাপড়ে প্রিন্টিং রং স্থায়ী করার জন্য স্ট্রিমিং করা হয়। এই স্ট্রিমিং প্রক্রিয়াতে যেন রং ভালোভাবে স্থায়ী হয় তাই প্রিন্টিং পেস্টে ক্যাটালিস্ট ব্যবহার করা হয়।
এসিড ও অ্যালকালি (Acid and Alkali)
সাধারণত এসিড ও অ্যালকালি কালার ডেভলপ করার জন্য দরকার হয়ে থাকে।
ওয়েটিং এজেন্ট (wetting Agent)
ওয়েটিং এজেন্ট সাধারণত পানির সারফেস টেনশন কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রিন্টিং পেস্ট তৈরি করার জন্য যেসব ডাই স্টাফ গুলো ব্যবহার করা হয় তা প্রায় সবগুলোই পাউডার আকারে থাকে, যা পানিতে ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হয়। পানির সারফেস বা টেনশন ডাই স্টাফকে ঠিকমতো পানির সাথে মিশতে দেয় না তাই ওয়েটিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।

ক্যারিয়ার এজেন্ট (Carrier Agent)
ক্যারিয়ার এজেন্ট ব্যবহার করার ফলে, ফাইবার সমূহ ভিজে ফুলে উঠে ফলে ফাইবারের মধ্যে খুব সহজেই রঙের অনুপ্রবেশ হয়।
পরবর্তীতে কেরিয়ার এজেন্ট দূর করা হয়, কারণ ক্যারিয়ার এজেন্ট ফেব্রিকের লাইট ফাস্টনেস কমিয়ে দেয়।
অক্সিডাইজিং এন্ড রিডিউসিং এজেন্ট (Oxidizing and Reducing Agent)
অক্সিডাইজিং এন্ড রিডিউসিং এজেন্ট ব্যবহার করার ফলে ফেব্রিকে প্রিন্টিং এর রং স্থায়ী করে।
ডিফোমিং এজেন্ট (Defoaming Agent)
ডিফোমিং এবং ওয়েটিং এজেন্ট এর মিশ্রণের ফলে প্রিন্টিং পেস্টে ফেনার সৃষ্টি হয়, এতে করে প্রিন্টিংয়ের ব্যাঘাত ঘটে। প্রিন্টিং পেস্টে ফেনা যেন সৃষ্টি না হয় তাই ডিফোমিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
ডিসপাসিং এজেন্ট (Dispersing Agent)
প্রিন্টিং পেস্টের ঘনত্ব অনেক বেশি, বেশি ঘনত্বের কারণে এগুলো একসাথে দানা বাঁধার সম্ভাবনা থাকে, এই দানা যেন বাঁধতে না পারে তাই ডিসপাসিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক।
প্রিন্টিং এর সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
ব্লক প্রিন্টিং সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
প্রিন্টিং সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
প্রিন্টিং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।