পোশাক শিল্পে পোশাক তৈরি করার সময় বিভিন্ন ধরনের সংকেত ব্যবহার করে পোশাকের সাইজ, পোশাক যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি, পোশাকের ধরন, পোশাকের ব্রান্ড, পোশাক কি সুতা দিয়ে তৈরি তা লিপিবদ্ধ করা হয়।
এই সংকেতগুলো ইন্টারন্যাশনাল স্বীকৃতি পাওয়ার সংকেত তাই যেকোনো ভাষার বা যে কোন দেশের লোকেরাই এটা বুঝতে পারে। গার্মেন্টসের সংকেতমালাগুলো পোশাকের আকার এবং কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে ব্যবহার করা হয়।
পোশাকের উপর যেই সংকেতমালা গুলো ব্যবহার করা হয়
- মেইন লেবেল
- সাইজ লেভেল
- কেয়ার লেবেল
মেইন লেবেল
মেইন লেবেলে ক্রেতার নাম, ব্রান্ডের লগো লেখা থাকে যেমন, এইচ এন্ড এম, আমেরিকান ঈগল ইত্যাদি।
মেইন লেবেল কে ব্র্যান্ড লেবেল ও বলা হয়। ব্র্যান্ড লেবেল গ্রাহকদের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা ব্যান্ডের পোশাক কিনতে পছন্দ করেন। যেমন, আমি নিজেই কোন পাঞ্জাবি কিনতে গেলে আড়ং এর পাঞ্জাবি আমার প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে। আর যদি কোন জিন্স প্যান্ট কিনতে চাই তাহলে আমেরিকান ঈগল ব্রান্ডের পণ্য খুঁজি। এমনই সবারই কোন না কোন ব্রান্ড পছন্দ তাই পোশাকের ব্রান্ড লেবেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাইজ লেভেল
সাইজ লেভেল মূলত পোশাকের আকারকে নির্দেশ করে। সাইজ লেবেলর সাংকেতিক চিহ্নগুলো : এস (s), এম (M), এল (L), এবং এক্সেল (XL) ডবল এক্স এল (XXL)।
এস (s)
এস (s) অর্থাৎ ছোট। ছোট আকারের পোশাকগুলোর মধ্যে সাংকেতিক চিহ্ন এস (s) ব্যবহার করা হয়।
এম (M)
এম (M) অর্থাৎ মিডিয়াম। মধ্যম আকারের পোশাকের মধ্যে মিডিয়াম সাংকেতিক চিহ্ন এম (M) বহার করা হয়।
এল (L)
এল (L) অর্থাৎ বড়। বড় আকারের পোশাকগুলোর মধ্যে সাংকেতিক চিহ্ন এল (L) ব্যবহার করা হয়।
এক্সেল (XL)
এক্স এল (XL) অর্থ এক্সট্রা লার্জ, অর্থাৎ বড় থেকেও বড়। বড় ওর থেকেও বড় পোশাক গুলোর মধ্যে সাংকেতিক চিহ্ন এক্স এল (XL) ব্যবহার করা হয়।
ডবল এক্স এল (XXL)
ডবল এক্স এল (XXL) বলতে সবথেকে বড় বোঝায়। সবথেকে বড় সাইজের পোশাকগুলোর মধ্যে সাংকেতিক চিহ্ন ডবল এক্স এল (XXL) ব্যবহার করা হয়।
কেয়ার লেবেল
গার্মেন্টস এর জন্য কেয়ার লেবেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেয়ার লেবেলে কাপড় কিভাবে যত্ন নিতে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া থাকে। কাপড়ের যত্ন বলতে, কাপড় সর্বোচ্চ কত ডিগ্রী টেম্পারেচারে, ধৌত করতে হবে, শুকাতে হবে এবং আয়রনিং করতে হবে তা চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা থাকে।