চীনে সর্বপ্রথম রেশম সুতা আবিষ্কার হয়। ধারণা করা হয় খ্রিষ্ট জন্মের প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে রেশম সুতা আবিষ্কৃত হয়। কথায় আছে অনেক পুরনো কথা, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭ শতাব্দীর দিকে লেইজু নামক সম্রাট তার বাগানে বসে তার সহপাঠীদের নিয়ে চা খাচ্ছিলেন, খাবার সময় তার চায়ের পাত্রে পরে। এমন সময় তার একজন বন্ধু পাত্র থেকে গুটি টি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তখন সে লক্ষ্য করলো গুটি থেকে এক ধরনের মিহি সুতোর মত বের হচ্ছে। লাইজু সম্রাট এবং তার কিছু সহপাঠী বিষয়টি খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিল যে, এই সুতা থেকে উন্নত মানের কাপড় তৈরি করা সম্ভব। তারপর সম্রাটের আদেশে রেশম গুটি সংগ্রহ করে সুতা তৈরি করা হয়, প্রসাদের মেয়েদের দিয়ে সুতা দিয়ে কাপড় তৈরি করা শুরু হয়েছে।
ওই সময়ে প্রাসাদে সাথে থাকা রমণীদের একটি বড় বিনোদন ছিল রেশম বুনন। তারপর থেকে হাজার বছর ধরে রেশম কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয় তা চীনারা গোপন করেছিল পুরো পৃথিবী থেকে। কিন্তু রেশম আবিষ্কারের ফলে চিত্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি হয়েছিল। চিনে রেশমি কাপড়ের উপর বিভিন্ন ধরনের চিত্র এঁকে স্বতন্ত্র ধারা তৈরি হয়েছিল।
বাইজেন্টাইনের সম্রাট জাস্টেনিয়ানের আদেশক্রমে দুজন ইউরোপীয় পাদ্রী লুকিয়ে রেশম উৎপাদনের কৌশল শিখে নিয়েছিল। তারপর ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইউরোপেও রেশম চাষ শুরু হয়েছে। ১২০০ খ্রিস্টাব্দের ইতালির পালেরমো, কাতানযারো এবং কোমো শহরগুলো ছিল ইউরোপের সব থেকে বেশি রেশম উৎপাদনকারী শহর।
রেশম পোকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Click Now.
বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই রেশম তৈরি হয়।
শান্টুং রেশম (Shantung)
চীনের শানডোং প্রদেশের নামানুসারে এই রেশমের নামকরণ করা হয়েছে।
দুপিয়োনি রেশম
দুপিয়োনি শব্দটি এসেছে ইতালিয়ান (Doppio) শব্দ হতে। এর অর্থ হল দ্বিগুণ।
অংশুপট্ট
অনেক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ রেশম চাষ শুরু হয়। কিন্তু চীন থেকে বাংলাদেশ রেশম চাষ এসেছে কিনা তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। সংস্কৃত ভাষায় মিহি রেশমের কাপড়ের নাম দেওয়া হয়েছে (অংশুপট্ট)
পোস্টটি ভালো করে সাজিয়েছেন।
ধন্যবাদ স্যার।