এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা টেক্সটাইল শিল্পকারখানায় সাবানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবো।
সাবান (Soap)

সাবান সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই পরিষ্কারক হিসেবে সাবান প্রস্তুত ও ব্যবহার করে আসছে। ১৭৯১ সালে বাণিজ্যিকভাবে সাবান তৈরি করা শুরু হয়।
সাবান তৈরির মূল উপাদান হলো চর্বি ও ক্ষার। চর্বির উৎস হল গবাদি পশুর, উদ্ভিজ্জ তৈল। ক্ষার হিসেবে ব্যবহৃত হয় কস্টিক সোডা বা পটাশ।
সাবানের গুরুত্ব (Importance of Soap)

মানুষের ব্যবহারিক জীবনে ভিন্ন কাজে সাবান ব্যবহার করার পাশাপাশি, শিল্পকারখানায় বিভিন্ন কাজে, বিশেষ করে টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে সাবানের গুরুত্ব অপরিসীম।
টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিং শিল্প-কারখানায় বিভিন্ন কাজে সাবান ব্যবহৃত হয়-

- ওয়েটিং এজেন্ট হিসেবে সাবান ব্যবহার করা হলে তা স্কাওয়ারিং প্রসেসের সময় দ্রবণের সারফেস টেনশন কমিয়ে দেওয়ার কেমিক্যাল সহজেই ফেব্রিকের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
- সাবানের কারণে অ্যালকালি ও টেক্সটাইল দ্রব্য ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসতে পারে, তার কারণে সহজেই ফেব্রিক থেকে তেল/চর্বিজাতীয় পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
- সাবান ইমালসিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, ইমালসিফাইং এজেন্টের কাজ হল টেক্সটাইল দ্রব্য হতে খনিজ তৈল ও মোম ইত্যাদি অপদ্রব্য দূর করা।
- সাবান স্কাওয়ারিং দ্রবণ এর ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং বাফার দ্রবণ হিসাবে স্কাওয়ারিং দ্রবণের pH ঠিক রাখে।
সাবানের গুণাবলী (Soap Qualities)

- সাবান ঠান্ডা পানিতে খুবই ধীরে ধীরে এবং গরম পানিতে খুবই তাড়াতাড়ি দ্রবীভূত হয়। (এটি সাবানের ধর্ম)
- অ্যালকোহলে সাবান দ্রবীভূত হয়।
- সাবান জৈবিক দ্রাবক – এসিটোন, ইথার ও পেট্রোলিয়ামছ দ্রবীভূত হয়।
- সাবান জৈব এসিড দ্বারা বিভাজিত হয়ে যায় এবং মুক্ত ফ্যাটি এসিডের সৃষ্টি করে।