আমরা অনেকেই শপিং করতে গিয়ে ১০০% কটন অথবা পিওর কটন কাপড় খুঁজে থাকি। তাই আমরা দোকানদারকে জিজ্ঞেস করি ”ভাই কাপড়টা কি পিওর কটন”। সত্য কথা বলতে আমাদের দেশের বেশিরভাগ কাপড় বিক্রেতারাই বলে থাকে হা ভাই এই কাপড়টা পিওর কটন। এখানে অনেক ক্ষেত্রে দোকানদাররা মিথ্যা কথা বলে। খুব কম স্থানেই সত্যবাদী দোকানদার পাওয়া যায়। তাই কাপড় কিনতে গিয়ে ঠকবার ঝুঁকি বেশি।
দোকানদারের উপর ডিপেন্ড না করে আপনি নিজেই পিওর কটন কাপড় যাচাই করতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক কটন কাপড় চেনার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ১০০% কটন/সুতি কাপড়ের ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা কম তাই কটন কাপড়ে যদি ভাঁজ পড়ে তাহলে সহজে ভাঁজ দূর হয় না। খুব সহজভাবে কটন কাপড় চেক করার জন্য কাপড়টি যেকোনো এক অংশ ধরে মুচড়ে দিলে কাপড়টিতে ভাঁজ পড়ে যাবে। আর যদি কটন/সুতি কাপড় না হয় তাহলে কাপড়টিতে তেমন ভাঁজ পড়বে না আর যদি ভাঁজ পরেও তাহলে খুব সহজেই ভাঁজহীন অবস্থায় ফিরে আসবে। (এই পদ্ধতিতে আপনি তাইলে যে কোন দোকানেই প্রয়োগ করতে পারবেন)
সুতরাং, অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কটন কাপড়ের মধ্যে খুব সহজেই ভাঁজ পড়ে যায়।
যদি আপনারা কেউ গজ কাপড় কিনতে যান তাহলে লক্ষ্য করবেন, কাপড়ের একপ্রস্থ খোলা থাকে খোলা অংশ থেকে একটি সুতা বের করবেন। সুতাটি ছিড়ার চেষ্টা করবেন যদি কাপড়টি পিওর কটন হয়ে থাকে তাহলে সুতাটি লম্বা না হয়ে একটানে ছিড়ে যাবে। আর যদি কটন না হয়ে থাকে তাহলে লম্বা হতে পারে বিভিন্ন রকম কাপড়ের সুতা বিভিন্ন রকম আচরণ করবে।
মনে রাখবেন, কটন অর্থাৎ তুলা। কটন সুতা যখন ছিড়বে তখন একটানেই ছিড়ে যাবে আর ছিরার পরে সুতার ছেঁড়া অংশে হালকা আঁশ দেখতে পাবেন।
উপরোক্ত গুণগুলো থাকলে কাপড়টি পিওর কটন।
পিওর কটন কাপড় যাচাই করার জন্য আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে যা আপনি কোন মার্কেটে অথবা কোন দোকানে প্রয়োগ করতে পারবেন না। কাপড়ের একটু অংশ কেটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন যদি কাপড়টি পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাহলে কাপড়টি পিওর কটন।
আর যদি ছাই না হয়ে পুড়ার পর অবশিষ্ট অংশ গুটি গুটি হয়ে থাকে অথবা দুর্গন্ধ ছড়ায় তাহলে বুঝতে হবে কাপড়টি কটন নয়। এই পদ্ধতিটি আপনার সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র আপনার বাসায় অথবা যদি আপনি কোন কাপড়ের বড় ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে পারবেন।