পোশাকের দ্বারা মানুষের ব্যক্তিত্ব অনেকটাই প্রকাশ পায়। তার জন্য অবশ্যই পোশাক পরিপাটি হওয়া চাই।
কিন্তু বর্তমানে কর্মব্যস্ততার কারণে হাত দিয়ে কাপড় ধোয়ার সময় হয়না। তাই কাপড় ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াশিং মেশিন। বর্তমানে ওয়াশিং মেশিন দিয়ে কাপড় ধোঁয়া থেকে শুরু করে শুকানো পর্যন্ত সবই করা যায়।
বাড়িতে কোন একটা ছোটখাটো প্রোগ্রাম হলেই গৃহসজ্জার প্রস্তুতি নিতে হয়। এই প্রস্তুতির কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে ধোয়া ধোয়ার কাজ। যেমন :- বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা, পাপোষ, টেবিল ম্যাট ইত্যাদি। তাই প্রোগ্রাম হওয়ার আগেই হোম গার্মেন্টস গুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কিন্তু সাবধান ওয়াশিং মেশিনের যেন কোনোভাবেই বেশি চাপ না পড়ে অর্থাৎ ঠেশে ভর্তি করে মেশিনটিকে না চালানো। অবশ্যই মেশিনের ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী কাপড় দিয়ে মেশিনটিকে চালাবেন।
ওয়াশিং মেশিনের কিছু সুবিধা
- দ্রুত সময়ের মধ্যে কাপড় ধোয়া যায়।
- কাপড় ধোয়ার পাশাপাশি কাপড় শুকানো যায়।
- কাপড়কে মসরৃন রাখে।
- কাপড় ছাড়া অন্যান্য জিনিস যেমন :- পাপোশ, কাপড়ের জুতা, মাউস প্যাড, টেবিল ম্যাট, গ্লাভস, টুপি ইত্যাদি।
ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে সর্তকতা
- মেশিন এর ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী কাপড় দেওয়া। অতিরিক্ত কাপড় দিলে মেশিনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- কাপড় ধোয়ার কাজ শেষ হলেই ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করে রাখা দরকার।
- মেশিনের ভিতরে গন্ধ সৃষ্টি হলে লেবুর রস এবং ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- মেশিনের পানির পাইপের সংযোগস্থলে কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করা দরকার।
- কাপড় ধোয়ার কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ রাখুন।
- ওয়াশিং মেশিন কে সমতল জায়গা রাখতে হবে যাতে করে কাপড় ধোয়ার সময় মেশিন নড়াচড়া না করে।
ওয়াশিং মেশিন কোথায় পাওয়া যাবে
- ওয়ালটন শোরুম।
- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের দোকান।
- সিঙ্গার শোরুম।
- এলজি শোরুম।
- প্যানাসনিক শোরুম।
- স্যামসাং শোরুম।
- যমুনা ফিউচার পার্ক।
- বসুন্ধরা সিটি।
- গুলিস্তান বড় মার্কেট।
- মৌচাক মার্কেট।
- রামপুরা।
- যাত্রাবাড়ী।
নিউমার্কেট এগুলো ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়।
ওয়াশিং মেশিনের দাম
ওয়াশিং মেশিনের দাম ১৫,০০০৳ থেকে শুরু করে ৭৫,০০০৳ পর্যন্ত রয়েছে। ওয়াশিং মেশিনের দাম টা মূলত মেশিনের স্পিসিফিকেশন এর উপর নির্ভর করে।