বিশ্বের মানুষের শীর্ষ আগ্রহের মধ্যে একটি আগ্রহ হলো কোন খাবারের মধ্যে সবথেকে বেশি পুষ্টি গুণ রয়েছে?
তাই গবেষকরা এ ব্যাপারে গবেষণা গবেষণা করে এমনই ১০০ খাবারের তালিকা তৈরি করেছেন।
খাবারগুলো
অ্যামন্ড
100 টি খাবার তালিকার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অ্যামন্ড। ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস হল অ্যামন্ড। হার্ড ভালো রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি।
আতা ফল
আচ্ছা ফুলে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এ, সি, বি১,সি২ এবং পটাশিসাম।
আতাফল খুবই সহজলভ্য একটি খাবার। আর এই ফলটি আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে। বাজারেও সব সময় পাওয়া যায় দামেও কম।
সামুদ্রিক মাছ
সবথেকে পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে সামুদ্রিক মাছ অন্যতম কারণ সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা দেহের এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে রয়েছে অনেক গুণ। হৃদরোগের জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সামুদ্রিক কই, পোয়া মাছ, কট মাছ, নল পাখনা টুটুনা, স্যামন, চিতল ফ্লাটফিশ ইত্যাদি।
তিসি বীজ
বিভিন্ন ধরনের ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন ভিটামিন নিনোলেনিক এসিড ও ফেনোলিক এসিড রয়েছে এতে।
মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়া এবং মিষ্টি কুমড়ার বীজে আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস রয়েছে। মিষ্টি কুমড়াতে আরো অনেক গুণ রয়েছে। এটি কাঁচা হোক বা পাকা হোক যে কোন জাতের হোক না কেন এর উপকারের কোন কমতি নেই। তাছাড়া এটি খুবই সহজলভ্য এবং আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায়।
ধনিয়া পাতা
ধনিয়া পাতার অনেক গুণের কথা আমরা শুনেছি, গুগলে অথবা অন্য কারো মুখ থেকে। জী তা আসলেই সত্য ধনিয়া পাতা পুরোটাই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ক্যারোটিন ওয়েল যা হজমের সমস্যা, কাশি বুকের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
মটরশুটি
মটর সুটি আমাদের দেশের জন্য খুবই সহজলভ্য এবং হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, মিনারেল এবং দ্রবণীয় ভিটামিন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজের পাতা রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। বিশেষ করে ভিটামিন এ এবং কে এর থেকে বেশি পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও পেঁয়াজ পাতার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি ও আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য এবং হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন একটি খাবার। বাঁধাকপি বলতে সব ধরনের বাঁধাকপিই পুষ্টিগুণে ভরপুর কিন্তু লাল বাঁধাকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়।
পালং শাক
পালং শাকে কথা আমাদের দেশের কি বলবো। ছুটি খুবই সহজলভ্য এবং হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন একটি খাবার। এর মধ্যে অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে এবং শরীরে শক্তি যোগাতে খুব বেশি সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই পালংশাকে মধ্যে অনেক বেশি পুষ্টি গুণ থাকার কারণে সেরা খাদ্য তালিকার মধ্যে এটি দুইবার উঠে এসেছে।
মরিচ
পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে মরিচ ও কম যায় না। এটি খুবই সহজলভ্য একটি খাবার। মরিচ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল যেমন – ভিটামিন সি ই এবং এ থাকে। এর সাথে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফেনোলিক উপাদান এবং ক্যারোটিন অয়েল।
পুদিনা
পুদিনা পাতা আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য এবং হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যা মূলত হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। এতে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
গ্রীন লেটুস
পুষ্টিগুণে ভরপুর গ্রীন লেটুস। এটি আমাদের দেশে প্রায়ই ফাস্টফুডের দোকানে গেলে দেখা যায়। যেমন বার্গারের নিচে গ্রীন লেটুস দেওয়া থাকে। এর বিশেষ গুণ হলো এটি যত তাজা থাকবে এর গুণ তত বেশি পাওয়া যাবে।
কলা
কলার গুণের কথা তো প্রায় সবাই শুনে থাকেন। জি গবেষকদের গবেষণায় বিশ্বের সবথেকে পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি খাবার হচ্ছে কলা। কলার মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং ডায়াবেটিকস প্রতিরোধী উপাদান। তাই কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
টমেটো
সব ধরনের টমেটোই পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁচা হোক বা পাকা হোক। কিন্তু কাঁচা টমেটোর থেকে পাকা টমেটোর বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন বলে ধারণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ডালিম
ডালিম আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় খাবার। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানান এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট।
বিশ্বের শীর্ষ পুষ্টিসম্পন্ন খাবারগুলোর তালিকায় রয়েছে :- মিষ্টি আলু খেজুর গাজর কচু শাক ইত্যাদি।