যাদের নিট ফেব্রিক সম্পর্কে ধারণা কম এই পোস্টটি তাদের জন্য। অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে নিজের মতো করে ফেব্রিকের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সিঙ্গেল জার্সি
সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিকের টপ সাইডে চিকন চিকন দাগ থাকে, ইনসাইড এ নিট এর মতন জালি থাকে, এই জাতীয় ফেব্রিক কে সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিক বলা হয়।
ফেব্রিকের জিএসএম সাধারণত 100 থেকে 200 হয়ে থাকে।
গ্রে মিলাঞ্জ
সিঙ্গেল জার্সি কাপড় যখন সাদা এবং গ্রে কালারের মিক্স হয় তাকে গ্রে মিলাঞ্জ ফেব্রিক বলা হয়।
এই কাপড় মূলত কটন এবং ভিসকোস ব্লেন্ডেড ফেব্রিক।
এই ফেব্রিক তিন প্রকারের হয়
- এক্র মিলাঞ্জ ফেব্রিক
- গ্রে মিলাঞ্জ ফেব্রিক
- এন্থ্রা মিলাঞ্জ ফেব্রিক
টেরি জার্সি
টেরি সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিকের টপ সাইড দেখতে সিঙ্গেল জার্সি মত। কিন্তু ইনসাইড ব্যান্ডেজ এর মতন থাকে। এরকম দেখতে ফেব্রিকে টেরি ফেব্রিক বলা হয়।
এই ফেব্রিকের একপাশে প্লেন এবং অন্য পাশে লুপ যুক্ত হয়।
ফিলিস ফেব্রিক
ফিলিস ফেব্রিকের টপসাইট দেখতে সিঙ্গেল জার্সি মতই হয়, কিন্তু ইনসাইড দেখতে খুবই নরম তুলতুলা। এই জাতীয় ফেব্রিকে ফিলিস ফেব্রিক বলা হয়। ব্রাশিং প্রক্রিয়াটি ডাইং করার পরে করা হয়।
রিব
টপ এবং বটম দুই পাশেই খাড়া লম্বা লম্বা দাগ থাকে যা টানলে বাড়ে। রিব ফেব্রিক গুলো সাধারনত খাঁজকাটা মতন দেখায়।
রিব ফেব্রিক কয়েক প্রকারের হয়
- ১*১ রিব
- ২*২ রিব
- ৩*৩ রিব
লাকস্ট ফেব্রিক
লাকস্ট ফেব্রিক এর টপ সাইট ডায়মন্ডের মতন দেখতে দেখা যায় এবং ইনসাইড প্লেন (সমান) থাকে।
ডায়মন্ডের বিট যদি ছোট হয়, তাহলে সিঙ্গেল লাকস্ট, বিট বড় হলে ডাবল লাকস্ট।
লাইক্রা সিঙ্গেল জার্সি
সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিকে টানলে ফেব্রিক বাড়বে কিন্তু টান ছেড়ে দিলে ফেব্রিক আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। এই ফেব্রিকে লাইক্রা সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিক বলা হয়।
এই ফেব্রিক কে টানলে ভিতরে চকচকে রাবারের মতন ইলাস্টিক দেখা যায়।
লাইক্রা রিব
লাইক্রা রিব ফেব্রিক উভয় দিকে টানলে বাড়ে, তাকে লাইক্রা রিব বলে । এই লাইক্রা রিব ফেব্রিকে ইলাস্টিক এর পরিমাণ খুব বেশি থাকে।
লাইক্রা রিব কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে
- ১*১
- ২*২
- ৩*৩
- ৪*৪
ম্যাশ ফেব্রিক
ম্যাশ ফেব্রিক এর বুনন অনেকটা মশারির মতন, ছোট ছোট ছিদ্র যুক্ত ফেব্রিক তাকে ম্যাশ ফেব্রিক বলা হয়।
এই ফেব্রিক ওয়ার্প নীট মেশিনে প্রস্তুত করা হয়।
ইন্টারলক ফেব্রিক
টপ সাইট এবং ইনসাইডার সিঙ্গেল জার্সি এর মতন খাড়া লম্বা দাগ থাকে কিন্তু টানলে খুব অল্প বাড়ে, ইন্টারলক ফেব্রিকের উভয় পাশ দেখতে একরকম।
ডিজাইন ইন্টারলক
ডিজাইন ইন্টারলক ফেব্রিকের টপ সাইডে ডিজাইন করা থাকে ইনসাইড এ অনেকটা মসৃণ থাকে।
স্লাব ফেব্রিক
যে ফেব্রিকের উইথ বরাবর ছোট ছোট দাগ বা গিট এর মতন থাকে তাকে স্লাব ফেব্রিক বলা হয়।
স্লাব ফেব্রিকের স্লাব গুলি মোডাল ফাইবার দিয়ে করা।
ডিজাইন ফিলিসি
ডিজাইন ফিলিসি ফেব্রিক দেখতে অনেকটা ফিলিসি ফেব্রিক এর মতই, কিন্তু ফেব্রিক এর গায়ে নিট ডিজাইন থাকে।
ডিজাইন টেরি
ডিজাইন টেরি ফেব্রিক অনেকটা টেরি ফেব্রিক এর মতন, কিন্তু টেরি ফেব্রিক থেকে ডিজাইন টেরি ফেব্রিক হালকা-পাতলা হবে, আর ফেব্রিক এর উপর পাশে ডিজাইন থাকবে।
হেভি জার্সি
হেভি জার্সি ফেব্রিক অন্য কোন ফেব্রিক এর তুলনায় একটু হার্ড আরে ফেব্রিকের লুপ গুলো খুবই কাছাকাছি থাকে।
অল ওভার প্রিন্ট
সিঙ্গেল জার্সি ফেব্রিকের টপ সাইটে প্রিন্ট করা হয় তাকে অল ওভার প্রিন্ট বলা হয়।
অল ওভার প্রিন্ট গুলোর চাহিদা অনেক বেশি।
খুব ভালো ভাবে ফেব্রবিকের বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভালো পোস্ট খুবই ভালো এবং দরকারী
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীট
ধন্যবাদ আপনাকে।