এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা গ্যাস সিনজিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবো।
গ্যাস সিনজিং

গ্যাস সিনজিং পদ্ধতিতে গ্যাস বার্নার এর সাহায্যে একই সাথে ফেব্রিকের উভয় পাশের প্রজেক্টিং ফাইবার, হেয়ারি ফাইবার ইত্যাদি পুড়িয়ে দূর করা হয়। গ্যাস সিনজিং মেশিন দ্বারা প্রতি মিনিটে ২৫০ গজ থেকে ৪০০ গজ ফেব্রিক সিনজিং করা যায়। সিনজিং পদ্ধতিগুলোর মধ্যে গ্যাস সিনজিং পদ্ধতি সবথেকে বেশি সুবিধাজনক। বর্তমানে গ্যাস সিনজিং পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ গ্যাস সিনজিং মেশিনের সাহায্যে একই সাথে ফেব্রিকের দুই পাশেই নিখুঁতভাবে সিনজিং করা যায়।

সিনজিং সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
গ্যাস সিনজিং এর সুবিধা

গ্যাস সিনজিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে।
- গ্যাস সিনজিং করার ফলে ফেব্রিকের মসৃণতা সুসমতা বেড়ে যায়।
- ফেব্রিকের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী গ্যাসের অগ্নিশিখা বাড়ানো বা কমানো যায়।
- টানা ও পোড়েনের মধ্যে থাকা প্রজেক্টিং ফাইবারগুলো পুড়িয়ে ফেলা যায় তাই সিনজিং খুব ভালো হয়।
- অন্যান্য সিনজিং এর তুলনায় গ্যাস সিনজিং এর উৎপাদন বেশি এবং ফেব্রিক এর গুনাগুন ভালো।
- গ্যাস সিনজিং করার পরই ফেব্রিকের ডিসাইজিং বক্সে প্রবেশ করানো হয় তাই ফেব্রিক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- গ্যাস সিনজিং পদ্ধতি দ্বারা ফেব্রিকের উভয় পৃষ্ঠে একই সাথে সিনজিং করা যায়।
- গ্যাস সিনজিং পদ্ধতিতে ফেব্রিকের চলার পথে একটি ব্রাশ ব্যবহৃত হয়, ব্রাশ ফেব্রিকের সাথে লেগে থাকা প্রজেক্টিং ফাইবারকে কম্বিং এর মাধ্যমে ভালো হবে খাড়া করে দেয় যাতে করে ভালোভাবে পুড়তে পারে।
- গ্যাস সিনজিং এর ক্ষেত্রে সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাই ফেব্রিক সম্পূর্ণরূপে সিনজিং হয়।

নিচের ভিডিওটি দেখলে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন –
Awesome
ধন্যবাদ আপনাকে।