পোশাক শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। বাংলাদেশের সবথেকে বেশি মানুষ একসাথে কাজ করে পোশাক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে। পোশাক ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কাজ করে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষের ঘর সংসার চলে।
পোশাক শিল্পের ইতিহাস
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে অনেক বড়। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম সেলাই মেশিন দিয়ে কাপড় সেলাই করা হত। তখন সিঙ্গার কোম্পানির সেলাই মেশিনগুলো দিয়ে টেইলারিং করত। তারপর অল্প কিছু সংখ্যক সেলাই মেশিন দিয়ে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি চালু হয় ১৯৬০ সালে।
গার্মেন্টসটির নাম হল রিয়াজ গার্মেন্টস, এর অবস্থান ছিল ঢাকার উর্দু রোডে। রিয়াজ গার্মেন্টস সর্বপ্রথম গার্মেন্টসে উৎপাদিত পোশাক লোকাল বাজারে বিক্রি করত। তারপর ধীরে ধীরে তারা রপ্তানি মুখর হয়ে ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডে ১০,০০০ পিস শার্ট রপ্তানি করে।
১৯৮১ – ১৯৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার পোশাক বিক্রি করে বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস রপ্তানী কারক হিসেবে নাম লিখিয়েছিল। তখনকার সময়ে পোশাক রপ্তানি করেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন কোন প্রভাব পরেনি।
তবে ১৯৯৮ – ১৯৯৯ অর্থবছরে ৪৫ বিলিয়ন টাকা রপ্তানি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৭৮% আসে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলো থেকে।
এখন বাংলাদেশে প্রায় সারে চার হাজারের কাছাকাছি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি কলকারখানা অবস্থিত ঢাকাতে। ঢাকাতে মোট কল কারখানার সংখ্যা ১৫৫৫ টি। তারপর গাজীপুরে ৮৯৪ টি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে।
গাজীপুরের পরে নারায়ণগঞ্জে ৫২৬টি কারখানা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পরে চট্টগ্রামে ৪৭১ টি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে তারপর বাংলাদেশে মোট আটটি ইপিজেডে ১৮১ টি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। তারপর অল্পসংখ্যক কিছু কারখানা রয়েছে কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিং, নরসিংদী, গাজীপুর ইত্যাদিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।