আমরা সবাই জানি, যে বাদামের মধ্যে অনেক প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি রয়েছে তাই বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে, বাদাম খেলে আমাদের শরীরে কি কি পরিবর্তন হয় বা কি উপকারে আসে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ বাদামে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যামাইনো এসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই উপাদানগুলো মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট। তাই আমরা প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করব আর যাদের খাওয়ার অভ্যাস নেই তারাও এই ভালো অভ্যাসটি করে নেয়ার চেষ্টা করব।
- মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে
- ক্যান্সার দূর করে
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে
- কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হজম ক্ষমতা বাড়ায়
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সম্প্রতি বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই ডাক্তাররা ছাত্রদেরকে বেশি বেশি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে
বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মানব শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। উপাদানগুলো হল :- ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। তাই যদি কারো শরীরে পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে বাদাম খেয়ে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।
ক্যান্সার দূর করে
বাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এর বিষয়ে একটি উপকারিতা হচ্ছে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই আমরা বেশি বেশি বাদাম খাবো।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
মানব শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বাদাম। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে যাই। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় যুক্ত করে নিলে এই টেনশন আর থাকবে না। বাদামের যে কার্যকরী উপাদান রয়েছে এই উপাদানগুলো শরীরে ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
বাদামে এমন একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে যার নাম হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। আর এই ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বাদাম খাওয়ার পরে খিদের হার কমে যায়। ফলে পরবর্তীতে খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে পারে না। আর শরীরের যদি অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে না পারে তাহলে খুব সহজেই শরীরের ওজন কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে
বাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে ফাইবার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বাদামের মধ্যে থাকা বিশেষ গুণ গুলোর মধ্যে একটি গুণ হচ্ছে কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বাদামের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন – ই মানব শরীরের কোষ এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে বয়স বেড়ে গেলও শরীরে এর কোনো প্রভাব পড়ে না।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাদাম হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই গবেষকরা বেশি বেশি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এগুলো ছাড়াও বাদামের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করার মতো না। তাই আমরা প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করব। ভাজা বাদাম খাওয়ার থেকে কাচা বাদাম খাওয়া অনেক ভালো। আর যদি বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নেই।