ফজরের নামাজের ইতিহাস
আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বেহেশ্ত থেকে এ দুনিয়ায় শরণ দ্বিপে তথা লঙ্গা দ্বীপের পর্বত চূড়ায় নির্বাসিত হন তখন একদিকে ছিল রাত্রির ঘোর অন্ধকার, অপরদিকে ছিল শ্বাপদ কুলের ভয়। পশুকুল তাকে খাবার জন্য লাঙ্গুর আছাড়ি, মুখ ব্যাদন করে আক্রমণ করতে উদ্যত হলেন তিনি এদের থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে আশ্রয় চেয়ে প্রথমে এক রাকাত নামাজ পড়তে গিয়ে সেজদায় পড়ে যান। পড়ে যখন অন্ধকার কেটে পূর্ব দিক ফর্সা হয়ে এলো, তখন তিনি শ্বাপদকুল ও স্ব-স্ব স্থানে লুকিয়ে পরলেন। তারপর আল্লাহ তা’আলার শুকরিয়া স্বরূপ আরো এক রাকাত নামাজ আদায় করলেন।
পরবর্তীকালে উম্মতে মোহাম্মদী তথা আমাদের ওপর ২৭ রজব মেরাজের রাত্রিতে এ নামাজ ফরজ করা হয়। হযরত আদম (আ:) লঙ্গাদ্বীপের যে পর্বতচূড়ায় অবতীর্ণ হন, পরবর্তীকালে ওই পর্বতচূড়ার নাম রাখা হয় “আদমপীক অর্থাৎ আদম পাহাড়”।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, আল্লাহ তাআলা আদি মাতা হযরত হাওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরব দেশের আরাফাতের ময়দানে অবতীর্ণ করেন। দুজন দু’দেশে থেকেই আল্লাহ তায়ালার দরবারে রোনাজারি করতে থাকেন। সাড়ে তিনশত বছর রোনাজারি ও আরাধনা করার পর আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে হযরত জিব্রাইল (আ:) সাহায্যে উভয়ের মিলন ঘটিয়ে দেন। লঙ্কাদ্বীপের যে পাহাড়ে হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেজদায় পড়ে কেঁদেছিলেন, যে পাহাড়ে তার চোখের পানিতে দুটি ঝরনার সৃষ্টি হয়েছিল যা বর্তমানে এখনো প্রবাহিত হয়ে আসছে।