এই পোষ্টের মাধ্যমে ডিফেক্ট কত প্রকার তা জানতে পারবেন।
পোষ্টটি অবশ্যই খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন কারণ পোস্ট এর প্রতিটি অংশই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিফেক্ট ইংরেজি শব্দ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে ত্রুটি। সাধারণত গার্মেন্টসের ভাষায় এটাকে অল্টার বলা হয়। আপনি যদি কখনো কোয়ালিটি সেকশনের প্রবেশ করেন তাহলে অবশ্যই অল্টার ডিফেক্ট শব্দ অবশ্যই শুনবেন। কারণ তারা এই শব্দগুলো ব্যবহার করে ত্রুটিযুক্ত স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে।
ডিফেক্ট তিন প্রকার
- মেজর ডিফেক্ট
- মাইনর ডিফেক্ট
- ক্রিটিকাল ডিফেক্ট
মেজর ডিফেক্ট
মেজর ডিফেক্ট হলো ডিফেক্ট এর মধ্যে মোটামুটি পর্যায়ে পড়ে। যার কারণে পোশাককে কমপ্লেন করে ফেরত দেওয়া হয়। অর্থাৎ পোশাকের মধ্যে এমন কিছু ডিফেক্ট থাকে যা চোখে পড়ার মতন। যার কারণে কোন পোশাকের মধ্যে মেজর ডিফেক্ট থাকলে তা কাস্টমার ফেরত দিয়ে দেয়।
যেমন :-
- থেমে থেমে সেলাই হওয়া।
- সেলাই এর মধ্যে বড় স্টিজ গেপ হওয়া।
- সীম খোলা থাকা ইত্যাদি সমস্যাকে মেজর ডিফেক্ট বলা হয়।
মাইনর ডিফেক্ট
মাইনুর ডিফেক্ট এমন একটি ডিফেক্ট যা চোখে পড়লেও কিনা যায়। অর্থাৎ কোন পোশাকের মধ্যে যদি মাইনর ডিফেক্ট থাকে তাহলে পোশাকটি কিনতে কোন অসুবিধা হয় না। মাইনর ডিফেক্ট এর কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হলো।
যেমন :-
- ওয়েল স্পর্ট।
- সুতার আগা বের হওয়া।
- পাইলিং ইত্যাদি ছোট ছোট সমস্যা।
ক্রিটিকাল ডিফেক্ট
উপরের দুইটি ডিফেক্ট এর থেকেও বড় ডিফেক্ট হলো ক্রিটিকাল ডিফেক্ট। সাধারণত ক্রিটিকাল ডিফেক্ট থাকলে কাপড় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ক্রিটিকাল ডিফেক্ট যদি কোথাও ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই পোশাক ক্রয় না করাই ভালো। কারণ ক্রিটিকাল ডিফেক্ট এর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা থাকে যার কারণে পোশাক ব্যবহারের অযোগ্য হয়।
ক্রিটিকাল ডিফেক্ট এর কিছু উদাহরণ :-
- মেটাল জাতীয় কোন কিছু ভেঙে কাপড়ের মধ্যে থাকা।
- কাপড়ের মধ্যে বোতাম না থাকা।
- পোশাকের কেয়ার লেবেলের মধ্যে সমস্যা থাকা।
- পোশাকের মধ্যে বিভিন্ন ট্রিমিংসের অনুপস্থিত থাকা ইত্যাদি না থাকলে এই সমস্যাগুলো ক্রিটিকাল ডিফেক্ট এর মধ্যে ধরা পড়ে।