পোষাক তৈরীর জন্য ফেব্রিক নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলো
- ফেব্রিকের বৈশিষ্ট্য
- ফেব্রিক কোয়ালিটি
- রঙের স্থায়িত্ব
- সীম ক্ষমতা
- সীম পাকার
- ফেব্রিকের প্রস্থ
- পোশাকের ব্যবহার
ফেব্রিকের বৈশিষ্ট্য
ফেব্রিক এর বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করে মূলত ক্রেতা। ক্রেতা তার নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী যেমন, EPI, PPI, Ozs/yds2ইত্যাদি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নমুনা অনুযায়ী ফেব্রিকের বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করা হয়।
ফেব্রিক কোয়ালিটি
পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে ফেব্রিক নির্বাচনের বিষয়গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি জরুরী হচ্ছে ফেব্রিক কোয়ালিটি নির্বাচন। কোয়ালিটি অর্থাৎ কাপড় এর গুণগতমান। কাপড়ের গুণগতমান মূলত নির্ভর করে কাঁচামালের বা র ম্যাটেরিয়ালসের উপর। তাই ফেব্রিক কোয়ালিটির দিকটি খুব ভালোভাবে নজর রাখতে হবে।
রঙের স্থায়িত্ব
ফেব্রিকের রং স্থায়ী হওয়া আবশ্যক। ফেব্রিকের রঙের উপরেও ফেব্রিকের কোয়ালিটি নির্ভর করে। রং স্থায়ী বলতে, কাপড় ধৌতকরণ, শরীরের ঘাম, সূর্যের তীব্র আলো ইত্যাদির ফলে যেন রং না উঠে যায়। পোশাকের ক্ষেত্রে ফেব্রিক নির্বাচন করার জন্য রং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রঙের স্থায়িত্বের উপর খুব ভালভাবে নজর দিতে হবে।
সীম ক্ষমতা
ফেব্রিক নির্বাচন করতে গেলে সিম ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি বারবার সিম স্লিপেজ ঘটে তাহলে এই পোশাক বাজারজাত করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাবে। সুতরাং ফেব্রিক নির্বাচন করার আগে দেখে নিতে হবে ফেব্রিক যেন সহজেই সেলাই রেখা বরাবর সেলাই করা যায়।
সীম পাকার
সীম পাকারে যদি ছুটি হয় তাহলে কাপড় কুঁচকে যাবে। সুতরাং ফেব্রিক নির্বাচন করার আগে অবশ্যই এটা দেখতে হবে যে পোশাকের সেলাই রেখা বরাবর ফেব্রিক যেন কুঁচকে না যায়।
ফেব্রিকের প্রস্থ
ফেব্রিকের প্রস্থ অর্থাৎ বহর যদি বেশি হয় তাহলে ফেব্রিকের অপচয় কম হবে।
পোশাকের ব্যবহার
পোশাকের ব্যবহার হচ্ছে, ফেব্রিক দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক কি কাজে ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন: বস্ত্র, শিল্প সামগ্রীতে ব্যবহার, গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার ইত্যাদি সবগুলো জন্য আলাদা আলাদা ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার পছন্দ হতে পারে
মার্চেন্ডাইজিং সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
গার্মেন্টস ব্যবহৃত মেশিনগুলো সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
কাটিং মেশিনগুলো সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
গার্মেন্টস প্রেসিং সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন