বর্তমানে হাজার হাজার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বেকার। কেউ চাকরি পায় না আবার কেউ চাকরি করতে চায় না। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার যে বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে বেকারত্ব সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তবে এই বেকারত্বের সংখ্যা কমানোর জন্য আত্মকর্মসংস্থান একটি ভালো দিক।
আত্মকর্মসংস্থান
নিজেই উদ্যোগী হয়ে নিজের কাজের ব্যবস্থা করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে চাকরি না করে নিজের যোগ্যতা বলে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা কে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আত্মকর্মসংস্থানে অনেক স্বাধীনতা রয়েছে কারণ এটি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অধীনে নয়।
যারা নিজেরা আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চান তাদের জন্য সুখবর!!
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্নভাবে বেকারদেরকে সাহায্য করা হয়। যেমন: NGO, ক্ষুদ্রঋণ ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করা হয়। কিন্তু এদের মধ্যে সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় সাহায্য হচ্ছে জামানত ছাড়া লোন। বাংলাদেশ সরকার বেকারত্বের সংখ্যা কমানোর জন্য বিনা জামানতে লোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লোনটি আপনিও চাইলে তুলতে পারবেন কিন্তু কিছু শর্তসাপেক্ষে।
এই লোনটি দেওয়া হয় বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে। লোনটি বিশেষ করে উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয় যাতে করে তারা নতুন করে কিছু শুরু করতে পারে তার কারণে খুবই সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। নিচে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া আছে ক্লিক করে দেখে নিন ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কি কি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢুকতে :- ক্লিক করুন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উপযুক্ত আত্মকর্মসংস্থান ক্ষেত্রগুলো
- ফ্যাশন ডিজাইন তৈরি করা।
- বুটিক হাউজ।
- রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশন রিপেয়ারিং কারখানা স্থাপন করা।
- মোবাইল, টিভি, রেডিও, টেলিফোন ইত্যাদি মেরামত করার জন্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
- কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার মেরামত করার জন্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
- বাড়ির নকশা বা ডিজাইন তৈরি করা।
- বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, হোল্ডার ইত্যাদি তৈরির কারখানা স্থাপন করা।
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা।
এইগুলো ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা চাইলে করতে পারে।
এগিয়ে আসুন বাংলাদেশের বেকার মুক্ত করার জন্য। আমারা সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই বাংলাদেশ বেকার মুক্ত হবে। এটাই সুবর্ণ সুযোগ উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার।
নোট :- বিশেষ করে কোন টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার চাকরি ছাড়া থাকবেন না। অল্প টাকা বেতন হলেও চাকরিতে ঢুকে পড়ুন। নাহলে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে অনেক অসুবিধা হবে। আর যদি চাকরি করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে আপনি খুবই সহজেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন।