আমাদের সকলেরই মৃত্যুবরণ করতে হবে। একথা অনস্বীকার্য। জন্ম হলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই চিন্তা ভাবনা করে জীবন থাকতেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। আলোচ্য গ্রন্থে যেসব কথাই বলা হবে সবগুলোই কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়েছে।
যারা বিচ্ছেদ মুহূর্তে মৃত্যু, যার নিন্দ্রাস্থল মাটির শয্যা, যার প্রিয় সঙ্গী সাপ বিচ্ছু, যার সহচর মুনকার নাকির, যার বাসস্থান কবর, যার বিশ্রামাগার ভূগর্ভ, যার প্রতিশ্রুতি স্থান কিয়ামত এবং বেহেশত বা দোজখ যার অবতরণস্থল। তার জন্য মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোন কিছু চিন্তা করা, অন্য কোন কিছুর আলোচনা করা, অন্য কোন কিছুর প্রতিশ্রুতি নেওয়া এবং অন্য কোন কিছুর অপেক্ষা করা মোটেই শোভনীয় নয়।
তার উচিত নিজেকে মৃত্যু ও কবর বাসিদের মধ্যে গণ্য করা। কেননা, যার আসন্ন তা নিকটবর্তী। দূরে তাই যা কখনো আসবে না। রাসুল (সা:) বলেছেন – বিজ্ঞ সেই যে নিজ নফসকে দাবি রাখে এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ের জন্যে আমল করে।
অতএব, যে পর্যন্ত কোন বিষয়ে মানে বারবার স্মরণ না হয়, সে পর্যন্ত সে বিষয়ে প্রস্তুতি হতে পারে না। এমন বিষয় সম্পর্কে অব্যাহতভাবে শুনতে থাকে, যা স্মরণ করিয়ে দেয় মৃত্যুর পরবর্তী বিষয়গুলো তথা আখিরাত, কেয়ামত, বেহেশত, দোজখ ইত্যাদি। উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা ফিকির করলে অবশ্যই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব। ইসলামের দেখানো পথে চললে অবশ্যই জান্নাত নসিব হবে।