আজকে আমরা নীট ফেব্রিক এবং নীট সুতার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব।
নীট সুতার বৈশিষ্ট্য
- নীট সুতার ইলাস্টিসিটি বেশ ভালো হয়।
- নীট সুতার হেয়ারিনেস কম থাকে।
- নীট সুতা সিঙ্গেল প্লাই বিশিষ্ট হতে পারে।
- নীট সুতার পাক কম থাকে।
- নীট সুতা সাধারনত মোটা হয়ে থাকে।

নীট ফেব্রিক এর বৈশিষ্ট্য
নীট ফেব্রিক এর বৈশিষ্ট্য জানার আগে নীট ফেব্রিক কি এবং কাহাকে বলে তা জানা যাক।

যে নিডেলের সাহার্য্যে লুপ তৈরি করে উক্ত তৈরিকৃত লুপ গুলোর সাহার্য্যে ইন্টারমেসিং এর মাধ্যমে উৎপাদিত কাপড়কে নীট কাপড় বলে।

নীট ফেব্রিক এর বৈশিষ্ট্য
- নীট ফেব্রিক তৈরি করার সময় এক বা একাধিক সুতা ব্যবহার করা হয়।
- নীট ফেব্রিক নীটিং মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হয়।
- নীট ফেব্রিক বিভিন্ন ডিজাইন অনুসারে তৈরি করা যায়।
- নীট ফেব্রিক এর আদ্রতা ধারণ ক্ষমতা ও স্থিতিস্থাপকতা খুব ভালো।
- নীট ফেব্রিকে অনেক ধরনের ডিজাইন দিয়ে তৈরি করা যায়।
- নীট ফেব্রিক যত চিকন হবে জিএসএম(GSM) তত কম হবে।
- নীট ফেব্রিক যত মোটা হবে জিএসএম (GSM) তত বেশি হবে।
- নীট ফেব্রিক অধিক কোমলীয় এবং অনেক মোলায়েম হয়।
- নীট ফেব্রিক ব্যবহারে অধিক আরামদায়ক।
- নীট ফেব্রিক দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে ক্রয় করা যায়।
- নীট ফেব্রিক দ্বারা বডিসেফ পোশাক তৈরি করা হয় যা সাধারনত ইন্টারলাইনিং এর ক্ষেত্রে স্কিন পোশাক হিসেবে খ্যাত।
- নীট ফেব্রিক দ্বারা তুলনামূলকভাবে শিশুদের পোশাক বেশি তৈরি করা হয়।
- নীট ফেব্রিক এর তুলনামূলকভাবে শোষণ ক্ষমতা বেশি হয়।
- নীট ফেব্রিক শীতকালীন পোশাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- নীট ফেব্রিক এ মাড় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
- নীট ফেব্রিক (GSM) জিএসএম বা (DIA) ডায়ার সাহায্যে পরিমাপ করা হয়।
- নীট ফেব্রিক এ ক্রিজ মার্ক পরে কিন্তু অন্য সব ফেব্রিক থেকে কম।
- নীট ফেব্রিক এর কোন পাড় থাকেনা।
- গোলাকার নীট ফেব্রিক সাধারণত সার্কুলার নীটিং মেশিন তৈরি করা হয়।
- নীট ফেব্রিক এর লুপ ও মেশিনের গেজের ঘনত্ব উপরে নির্ভর করে।
টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কেন করবেন? – Click Here
টেক্সটাইল সংক্রান্ত আপডেট পেতে টেক্সটাইল বাংলা সাথেই থাকুন। Credit – JH Sharif