আমাদের মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যে, মহান পালনকর্তা আল্লাহর সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের বামে হইল দোজখ, আর ডানে বেহেস্ত, পেছনে মাখলুক মওতের ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে আছেন আর আমরা পুলছিরাতের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমরা মনটাকে নরম করে দাঁড়াবো, যেমন করে পৃথিবীতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সামনে তাহার নিম্নস্তরের একজন কর্মচারী বড় এক ধরনের একটি অন্যায় করে সামনে দাঁড়ায়।
তার চেয়ে বেশি বিনীতভাবে নিয়ে দাঁড়াবো। প্রকৃত কথা হল, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে অনেকবার গাফুরুর রহিম বলে উল্লেখ করেছেন। নামাজের মাঝে আমরা সেই গাফুরুর রহিমের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করেই নামাজে দাঁড়াবো। নামাজে দাঁড়ালে আমাদের মনের ভিতরে পৃথিবীর নানা কুখেয়াল এসে উপস্থিত হয়। যেমন একজন ব্যবসায়ীর মনে ব্যবসার চিন্তা এসে যায়, একজন চাকরিজীবীর মনে চাকরির চিন্তা এসে যায়।
একজন সম্পদশালী ব্যক্তি নামাজের মাঝেই সম্পদের যাবতীয় হিসাব নিকাশ শেষ করে ফেলেন। এই ধরনের বাজে চিন্তা মন থেকে মুছে ফেলে নামাজ আদায় করতে হবে। তাহলেই নামাজ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নামাজ হইলো মনের আকুতি-মিনতি ও মনের প্রশান্তি। এটাই কায়েমী নামাজের সার্থকতা।