ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং – কি? এবং সেক্টর কয়টি?
টেক্সটাইল সেক্টরটা অনেক বড় একটি সেক্টর। মানুষের মৌলিক চাহিদা দ্বিতীয় ধাপ বস্ত্র দাঁড়াই আমরা সবাই টেক্সটাইল এর সাথে পরিচিত। কিন্তু আসলে শুধুমাত্র কাপড় অথবা ফ্যাশন নামক শব্দের সাথে টেক্সটাইল জড়িত নয়, বর্তমানের টেক্সটাইল ব্যবহৃত হয় না এরকম শব্দই এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ হচ্ছে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট থেকে ধরে প্রায় সব স্থানেই টেক্সটাইলের নাম রয়েছে।
বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং যখন আমরা পড়তে যাব তখন বিশেষ করে চারটা সেক্টরে বেশি মনোযোগী হতে হবে।
চারটি সেক্টর
- ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং
- ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং
- ওয়েট প্রসেসিং
- গার্মেন্টস
ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং
ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং থেকে শিখার মূলত যে বিষয়টা এটা হল, কিভাবে তুলা বা মেটারিয়ালস থেকে এয়ার/সুতা উৎপন্ন হয়।
ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং
ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে শিখার যে বিষয়টা এটা হল, কিভাবে ইয়ার্ন থেকে ফেব্রিক তৈরি করা হয়।
ওয়েট প্রসেসিং
ওয়েট প্রসেসিং থেকে শিখার বিষয়টি হলো, ফেব্রিক কে কিভাবে রং এবং প্রিন্টিং করা হয়। এগুলো বিস্তারিত ভাবে শিখা।
গার্মেন্টস
গার্মেন্টস থেকে শিখা যায়, ওই তৈরিকৃত ফেব্রিকটিকে কিভাবে পোশাকে রূপান্তরিত করা হয়।
উপরোক্ত যে চারটি সেকশনের কথা বলা হলো, এই সেকশন গুলোর ভিতরে আরও অনেক টার্মস রয়েছে যেগুলো একটি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার খুব ভালোভাবে শিখতে পারে যখন ভালো একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক পলিটেকনিক রয়েছে যেগুলোতে আসলে প্র্যাকটিকেল ক্লাস একদমই হয় না শুধুমাত্র থিওরি ক্লাস করায়।
যেহেতু ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চার বছরের কোর্স। তাই ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য ভালো একটি পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়া দরকার। বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে ভালো পলিটেকনিক গুলো সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।