যখন মাস্কের ব্যবহার শুরু হয় তখন মানুষের কোন ধারনাই ছিল না যে বাতাসের মধ্যে ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা মানুষকে খুব সহজে অসুস্থ করতে পারে। মেডিকেল মাস্কের ইতিহাস বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, ক্রিসটোস লিনটেরিস এই মতটি প্রকাশ করেন।
দুর্গন্ধের জন্য মাস্ক এর ব্যবহার

১৫ শতকের শুরুতে কবর খননকরী ও মরদেহ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকতেন।
প্লেগ মাস্ক

১৬০০ সালের শুরুতে ইউরোপে যখন প্লেগ মহামারী রূপ নেয় তখন, আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত থাকা ডাক্তাররা এক ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতেন। বড় পাখির ঠোঁটের আদলে তৈরি প্লেগ মাস্ক। এই প্লেগ মাস্কের শেষ প্রান্তে থাকতো সুগন্ধি। দুর্গন্ধ থেকে প্লেগ ছড়ায় এমন ধারণা থেকেই এই মাস্কের সূত্রপাত।
সার্জিক্যাল মাস্ক

ডাক্তাররা সর্বপ্রথম ১৮৯৭ সালে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা শুরু করে। কিন্তু এটি ভাইরাস/জীবাণু থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করা হতো না। সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা হতো সার্জারি চলাকালীন সময়ে ডাক্তারের হাঁচি-কাশির ফলে কোন তরল ফোটা যেন রোগীর ক্ষতস্থানের না পরে।
১৮৭০ সালে ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার পর, বিলুপ্তি ঘটে এই অদ্ভুত মাস্কের।
গ্যাস মাস্ক

এই মাস্ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়, এটি ব্যবহার শুরু করেছিল খনির শ্রমিকরা। গ্যাস মাস্ক খুব ভারী যা ব্যবহারকারীর কাছে খুবই অস্বস্তিকর এবং বাড়ি লাগতো। ওজনের কারনে এই মাস্ক জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি।
এন-৯৫ মাস্ক

M3 কোম্পানি ১৯৭২ সালে বাজারে আনে এন-৯৫ মাস্ক। শুরুতে কারখানায় ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।তারপর টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার সাই এন-৯৫ মাস্কে ভাইরাস প্রতিরোধ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এরপর থেকে সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে এন-৯৫ মাস্ক।
Good post.
N-95 Mask kinte call koron 01822558899