ইহকালীন জীবনে যে সকল লোক মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসুলের নির্দেশিত পথে না চলে এর বিপরীত ভাবে উল্টো পথে অর্থাৎ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নিজেকে পরিচালিত করেছে তাদের এসব অন্যায়ের ফলে মহান আল্লাহ শাস্তির বিধান করে যে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে, ইসলামী শরী ‘আতের পরিভাষায় তাকে জাহান্নাম অর্থাৎ দোযখ বলে। বাংলাতে এর অর্থ হল অতল সমুদ্র।
এ দোযখের উপর দিয়ে পুলসিরাত প্রতিষ্ঠিত। দোযখের শাস্তি অন্যতম উপকরণ হলো আগুন। সুতরাং দোযখীদের সবকিছুই আগুনের দ্বারা তৈরি। বর্তমান দুনিয়ার আগুনের সাথে দোযখের আগুনের কোন তুলনা নেই।
যেহেতু দোযখীদের সবকিছুই আগুনের দ্বারা তৈরি। তাই তাদেরকে আগুনের পোশাক পরিধান করতে হবে আর আগুনের বিছানাপত্র দেওয়া হবে। তাদের খাদ্য হবে যাক্কুম নামক কাঁটাযুক্ত গাছ, দুনিয়ার জমিনে যার কোন উপমা চলেনা। তাদের পানীয় হিসেবে দেওয়া হবে পচা দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ ও রক্ত।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন ”দু চোখের সর্বনিম্ন শাস্তি দানকারীকে একজোড়া আগুনের তৈরি জুতা পরিধান করতে দেওয়া হবে। আগুনের জুতার ফিতা সমূহও হবে আগুনের তৈরি। সে জুতা পরিধান করার ফলে সে ব্যক্তির মাথার মগজ বিগলিত হয়ে টগবগ করতে থাকবে।
এরূপ অবস্থা দেখে সে ব্যক্তি মনে করবে যে তাকেই বুঝি সবচেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া হচ্ছে”। অথচ পূর্বেই বলা হয়েছে, এটা হল সর্ব নিম্নমানের শাস্তি।