আজকে আমরা স্রিংকেজ কী এবং স্রিংকেজ এর পরিমাপ কিভাবে করা হয় তা নিয়ে আলোচনা করব।
স্রিংকেজ এর অর্থ হল সংকোচন।
স্রিংকেজ কি
সাধারণত ফেব্রিককে পানি অথবা কোন তরল পদার্থের মাঝে ভিজিয়ে রাখলে ফেব্রিকের আকার আকৃতির মাঝে পরিবর্তন হয় অর্থাৎ ফেব্রিকটি আগের তুলনায় ছোট হয়ে যায় তাই স্রিংকেজ/সংকোচন।
স্রিংকেজ এর পরিমাপ
ফেব্রিকের স্রিংকেজ পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ ওয়াশিং মেশিনে ঠান্ডা পানিতে ফেব্রিককে ডুবিয়ে রাখতে হয়।
ফেব্রিকের স্রিংকেজ পরীক্ষার পদ্ধতি সমূহ-
- নমুনা প্রস্তুতকরণ
- ধৌতকরণ
- শুষ্ককরণ
- কন্ডিশনিং এবং পুনরায় মেজারমেন্ট করা
নমুনা প্রস্তুতকরণ
যেই ফেব্রিকের স্রিংকেজ পরীক্ষা করা হবে তাকে টানা ২৪ ঘন্টা কন্ডিশনিং করতে হবে। তারপর অমোচনীয় কালি ধারা ফেব্রিকের টানা ও পড়েন দুই দিকেই ৩ জোড়া দাগ দিতে হবে। তারপর ফেব্রিকটি একটি কাচের প্লেটের উপরে রেখে তার উপরে আরেকটি কাচের প্লেট দ্বারা চাপ দিয়ে টানা ও পড়েন উভয় দিকের দূরত্বের মেজারমেন্ট নিতে হবে।
ধৌতকরণ
নমুনা ফেব্রিককে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।তারপর সম্পূর্ণ ফেব্রিক টি পানিতে ডুবে থাকার জন্য কতটুকু ওজন প্রয়োজন তা পরীক্ষা করা হয়।
শুষ্ককরণ
ধৌতকরণ প্রক্রিয়া শেষ হবার পরে ফেব্রিকর থেকে অতিরিক্ত পানি দূর করে ফেব্রিককে শুকাতে হয়।
কন্ডিশনিং এবং পুনরায় মেজারমেন্ট নেওয়া
ফেব্রিক টি শুকানোর পরে 24 ঘন্টা পর্যন্ত কন্ডিশনিং করা হয়। তারপরে পূর্বের মতন ফেব্রিককে একটি কাঁচের প্লেটের উপর রেখে তার ওপর আরেকটি কাচের প্লেট রেখে টানা ও পড়েন দুই দিকেরই মেজারমেন্ট নেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক।
ফেব্রিক (গজ থেকে কেজিতে) বের করার উপায় জানতে – ক্লিক করুন।
টুইল ফেব্রিক চেনার উপায় জানতে – ক্লিক করুন।
ফেব্রিকের লেয়ার তৈরি করার শর্তাবলী জানতে – ক্লিক করুন।
নীট ফেব্রিক এবং নীট সুতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।