এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা স্পানডেক্স ফাইবার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে পারব।
স্পানডেক্স ফাইবার (spandex Fiber)

স্পানডেক্স ফাইবার ইলাস্টোমার পলিমার থেকে উৎপত্তি হয়েছে। তাই স্পানডেক্স ফাইবারকে ইলাস্টোমেরিক ফাইবার ও বলা হয়। ইলাস্টোমার পলিমার হতে উৎপন্ন হবার কারণে এই ফাইবারের স্থিতিস্থাপকতার গুন অনেক বেশি। (ইলাস্টোমেরিক অর্থাৎ, ইলাস্টিক এবং প্লাস্টিক)
এই স্পানডেক্স ফাইবার তৈরি করার জন্য, ৮৫% সেগমেন্টের পলিইউরেথেন লাগে। ইলাস্টোমার থাকার কারণে এই ফাইবার নিজের দৈর্ঘ্যের চেয়ে ৫ – ৭ গুণ বেশি লম্বা হতে পারে আবার ছেড়ে দিলে নিজের অবস্থানে ফিরে আসে।
স্পানডেক্স ফাইবারের প্রচলন কিভাবে শুরু হল

সর্বপ্রথমে টেক্সটাইল পণ্য তৈরি করার জন্য রাবার ব্যবহার করা হত। সরাসরি রাবার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। তাই রাবারকে চিকন চিকন পাতলা লম্বা করে কেটে বিভিন্ন টেক্সটাইল ফেব্রিক এর সাথে ব্যবহার করা হত।
তারপর নতুন প্রযুক্তি ধারা রাবারকে তরল অবস্থায় ফিলামেন্ট এর মত করে ব্যবহার করা হতো, কিন্তু তার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা দেখা দেয়, ফেব্রিক এর সাথে ব্যবহার করলে ফেব্রিককে টান দিলে রাবারের রং দেখা যেত তাই এটা নিয়ে গবেষণা চলতেই থাকে।
১৯৪৫ এর দিকে পরীক্ষামুলকভাবে স্পান্ডেক্স ফাইবার সফলতা অর্জন করে, ১৯৫৫- ১৯৫৭ সালের দিকে স্পান্ডেক্স ফাইবার বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে।
স্পানডেক্স ফাইবারের ব্যবহার
রাসায়নিক ফাইবার দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। স্পানডেক্স ফাইবার দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক বেশি তাপমাত্রা মধ্যে রাখলে অথবা বেশি তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করে কাপড় ধৌত করলে কাপড় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেইস্পানডেক্স ফাইবার ধরা তৈরিকৃত কাপড়ের লেবেলে আয়রনি ক্রস দেওয়া থাকে, অর্থাৎ আয়রনিং করা যাবে না। আয়রনিং করলে কাপড় গলে যাবে।
প্রয়োজনীয় কিছু লিংক
ফাইবার টেস্ট সম্পর্কে জানতে :- ক্লিক করুন।
সিনথেটিক ফাইবার সম্পর্কে জানতে :- ক্লিক করুন।
কটন ফাইবার সম্পর্কে জানতে :- ক্লিক করুন।
বুটিক হাউস সম্পর্কে জানতে :- ক্লিক করুন।
প্রিন্টিং পেস্টের উপাদান সম্পর্কে জানতে :- ক্লিক করুন।