এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই জানতে পারবো প্রাকৃতিক ফাইবার ও কৃত্রিম ফাইবার এর মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে।
প্রাকৃতিক ফাইবার

- প্রাকৃতিক ফাইবারের জন্ম প্রকৃতিতেই। যেমন : গাছ, প্রাণী, খনি থেকে প্রাকৃতিক ফাইবার নেওয়া হয়।
- প্রাকৃতিক ফাইবারে স্পিনিং এর প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রাকৃতিক ফাইবারে ফিলামেন্ট প্রকৃতিগতভাবেই থাকে।
- প্রাকৃতিক ফাইবার এর মধ্যে প্রাকৃতিক রং থাকে। যেমন : ধূসর, বাদামি ইত্যাদি।
- টেক্সটাইল শিল্প কারখানায় প্রাকৃতিক ফাইবারের চাহিদা কৃত্তিম ফাইবারের তুলনায় অনেক বেশি।
- প্রাকৃতিক ফাইবারে ক্রিম্প দিতে হয়না। কারণ ক্রিম্প প্রাকৃতিকভাবে থাকে।
- কৃত্তিম ফাইবারের তুলনায় প্রাকৃতিক ফাইবার এর দাম অনেক বেশি।
- প্রাকৃতিক ফাইবার টেকসই কম হয়।
- প্রাকৃতিক ফাইবারে ময়লা অপদ্রব্য লেগে থাকে। প্রাকৃতিক ফাইবার সংগ্রহ করার সময় এই সমস্যাটা হয়ে থাকে।
- প্রাকৃতিক ফাইবারের দৈর্ঘ্য নির্দিষ্ট থাকে।
- কৃত্রিম ফাইবারের তুলনায় প্রাকৃতিক ফাইবারের ব্যবহার অনেক কম, কিন্তু প্রাকৃতিক ফাইবারের চাহিদা বেশি।
- এই ফাইবার আগুনে পুড়লে ছাই হয়ে যায়।
কৃত্তিম ফাইবার

- কৃত্তিম ফাইবার হলো ম্যান মেইড ফাইবার। এটি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণে ফাইবার তৈরি হয়।
- কৃত্রিম ফাইবারের ফিলামেন্ট বিভিন্ন স্পিনিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। যেমন : ওয়েট স্পিনিং, ড্রইং স্পিনিং।
- যখন ফিলামেন্ট তৈরি করা হয় তখন কৃত্রিম ফাইবার কি ইচ্ছে মত রং করা সম্ভব।
- পোশাকে কৃত্রিম ফাইবারের চাহিদা মোটামুটি। কিন্তু অন্যান্য কাজে এই কৃত্রিম ফাইবারের চাহিদা অনেক বেশি।
- ফিলামেন্ট তৈরি করা শেষ হলেই ক্রিম্প দিতে হয়।
- কৃত্রিম ফাইবারের দাম অনেক কম।
- এই ফাইবার অনেক টেকসই।
- কৃত্তিম ফাইবার সবসময় পরিষ্কার থাকে।
- কৃত্রিম ফাইবারের দৈর্ঘ্য নির্বাচন মানুষের উপর নির্ভর করে।
- কৃত্রিম ফাইবার অনেক স্থানে ব্যবহার করা হয়। পোশাকে তুলনায় অন্যান্য খ্যাতে এর চাহিদা অনেক বেশি।
- এই ফাইবার আগুনে পুড়লে ছোট ছোট গুটির মতন হয়।
ফাইবারের কিছু ছবি।








প্রয়োজনীয় কিছু লিংক।
ফাইবার টেস্ট কী জানতে – ক্লিক করুন।
কয়ার ফাইবার সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
সিসাল ফাইবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে – ক্লিক করুন।
সিনথেটিক ফাইবার এর বৈশিষ্ট্য জানতে – ক্লিক করুন।
ফাইবার সম্পর্কে, এই ওয়েবসাইটে অনেক কনটেন্ট রয়েছে আপনি চাইলে সার্চ অপশনে গিয়ে (ফাইবার) লিখে সার্চ করতে পারে।