তাওয়াফ
তাওয়াফ এর শাব্দিক অর্থ কোন কিছুর চারদিকে ঘোরা। হজ্জের ক্ষেত্রে কাবা শরীফের চতুর্দিকে ঘোরাকে তাওয়াফ বলে।
তাওয়াফের ওয়াজিব সমূহ
- তাহারাত অর্থাৎ গোসল ফরজ থাকলে তা করে না এবং ওযূ থাকলে অজু করে নেয়া।
- শরীর ঢাকা।
- কোন কিছুতে আরোহন না করে তাওয়াফ করা। (তবে বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে তা জায়েয আছে)
- ডানদিক থেকে তাওয়াফ করা।
- হাতিমসহ বাইতুল্লাহর উত্তর দিকে বাইতুল্লাহ সংলগ্ন অর্ধ চক্রাকৃতির দেয়াল ঘেরা জায়গা তাওয়াফ করা।
- সবগুলো চক্কর পূর্ণ করা।
- তাওয়াফের শেষে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
Note. উপরোক্ত কাজগুলো একটি কাজও যদি না হয় তাহলে পুনরায় তাওয়াফ করতে হবে।
তাওয়াফের সুন্নত সমূহ
- হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
- ইজতিবা করা (অর্থাৎ ইহরামের চাদর ডান বগলের নিচে দিয়ে এনে বাম কাঁধে ঝড়ানো)
- হাজরে আসওয়াদকে চুমু প্রদান করা অথবা হাতে ইশারা করে তাতে চুমু দেওয়া।
- প্রথম তিন চক্করে রমল করা (অর্থাৎ বীরদর্পে হাত বুলিয়ে দ্রুত পায়ে চলা)।
- বাকি চক্কর গুলোতে রমল না করা।
- সায়ী ও তাওয়াফের মাঝে ইস্তিলাম (হাজরে আসওয়াদকে চুমু প্রদান বা হাত কিংবা অন্যকিছু দিয়ে ইশারা করে তাতে চুমু প্রদান করা)।
- হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কাজ পর্যন্ত উঠান।
- তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।
- চক্করগুলো বিরতি না দিয়ে পরপর করা।
Note. মহিলাদের জন্য রমল ও ইজতিবা করতে হবে না।
তাওয়াফের মোস্তাহাবসমূহ
- হাজরে আসওয়াদের ডান দিক থেকে তাওয়াফ করা।
- হাজরে আসওয়াদে তিনবার চুমু খাওয়া।
- যেকোনো দু’আয়ে দোয়ামা সূরা পাঠ করা।
- সম্ভব হলে বাইতুল্লাহর দেয়াল ঘেঁষে তাওয়াফ করা।
- মহিলাদের রাতে তাওয়াফ করা।
- কথাবার্তা না বলা।
- আল্লাহর ধ্যানে খেয়ালে তাওয়াফ করা।
- দোয়া গুলো আস্তে আস্তে পড়া।
- রূকনে ইয়ামানী সম্ভব হলে হাতের স্পর্শ করা।
- তাওয়াফের সময় এ দিক সে দিক না তাকানো।