এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা টেক্সটাইল কী এবং টেক্সটাইলের কাজগুলো সম্পর্কে জানতে পারব।
টেক্সটাইল কি
টেক্সটাইল শব্দটি সর্বপ্রথম মূলত ওভেন/বোনা কাপড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে টেকস্টাইল শব্দটি একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ যার মধ্যে সকল প্রকার ফাইবার ( তুলা, পাট, উল, সিল্ক, হেম্প ) ইত্যাদি, সমস্ত প্রকার প্রক্রিয়া যেমন, ( উইভিং, নিটিং, ডাইং, ফিনিশিং ), ইত্যাদি সবগুলোই টেক্সটাইলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
টেক্সটাইলের কাঁচামাল থেকে শুরু করে গার্মেন্টস ফিনিশিং পর্যন্ত যতগুলো প্রসেসিং হয় সবগুলোই টেক্সটাইলের অন্তর্ভুক্ত। টেক্সটাইল শব্দের উৎপত্তি লেট্রিন শব্দ টেক্সার(Texere) থেকে।
টেক্সটাইলের গুরুত্ব
বর্তমান যুগের টেক্সটাইল ছাড়া বিশ্বকে চিন্তাই করা যায় না। মানুষের বেঁচে থাকার চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা টেক্সটাইল পূরণ করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত টেক্সটাইল এর ব্যবহার হয়। টেক্সটাইল পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মোটকথা টেক্সটাইলের গুরুত্ব অপরিসীম।
valo lago sir…..
apnar blog ta niomito pori…
Tnq sir.
apnar textile shomporke kono prosno thake comment kore janaben.
textile banglar shate thakar jonno tnq.
Sir apnar a upodesh gulo onek vlo lage
Thank You Muktar Vai… Stay with textile bangla.
ডাইং কি কি কেমিক্যাল ব্যবহার হয় একটু বলবেন
ডিটারজেন্ট : ফেব্রিকের জন্য এটি ওয়েটিং এজেন্ট অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সিকুস্টারিং এজেন্ট : পানিতে থাকা মেটাল আয়ন, এবং পানির হার্ডনেস রিমুভ এবং পানিকে সফট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এনজাইম : ফেব্রিকের গায়ে যে হেয়ারিনেস থাকে তা দূর করতে এবং ফেব্রিক সফট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এনজাইম পিলিং ও দূর করে।
লেভেলিং এজেন্ট : ফেব্রিকের গায়ে যেন কেমিক্যাল এবং ডাইস সমানভাবে লাগে, এজন্য লেভেলিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
এসিটিক এসিড : ফেব্রিককে নিউট্রল করতে সাহায্য করে এবং ফেব্রিকের বেসিক কন্ডিশন দূর করে এবং পিএইচ কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
এন্ট্রি ফোমিং এজেন্ট : ফেব্রিক ডাইং করার সময় ডাইং মেশিনের ভিতরে জন্য ফোম তৈরি না হয় তার জন্যই এই ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়।
পার-অক্সাইড : ফেব্রিক এর মধ্যে থাকা গ্রে কালার রিমুভ করতে সাহায্য করে।
স্টেবিলাইজার : ফেব্রিক এর উপর পারঅক্সাইডের যে রিএকশন থাকে, ওই রিএকশন কে স্ট্যাবল করার জন্য ব্যবহার করা হয়, এই কেমিক্যাল টি ব্যবহার না করলে, পার অক্সাইড খুব দ্রুত ভেঙে পার হাইড্রোক্সিল আয়ন গুলি শেষ করে ফেলবে।
ওয়েটিং এজেন্ট : ফেব্রিক যে টেনশন থাকে তা দূর করে, এবং ফেব্রিকের ভেজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
রিডাকশন এজেন্ট : ফেব্রিকের গায়ে লেগে থাকা অতিরিক্ত ডাইস(রং) দূর করার জন্য এই ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়
সফটনার : ফেব্রিকে সফট করার জন্য সাধারণত সফটনার ব্যবহার করা হয় এবং এটি ফেব্রিক এর হেন্ডফিল এবং সুইটিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
Sun-Dyeing
ওয়েল মার্ক : ফেব্রিকের গায়ে লেগে থাকা ওয়েল মার্ক দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়েল মার্ক।
সোডিয়াম এসিটেট : পলিস্টার ডাইং এর সময় PH যেন স্টেবল থাকে অথবা কন্ট্রোল থাকে তার জন্য ব্যবহার করা হয়। একে বাফারিং এজেন্টও বলে।
এপ্রিটন : এটি ফেব্রিকে হার্ড করে। মূলত ফেব্রিক হার্ড করার জন্য এই কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।
প্রোটনিক ক্যামিকেল : ফেব্রিকের গায়ে থাকে লাইন মার্ক দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
পিভিএ ঘাম : পলি ভিনাইল অ্যালকোহল। এটি একটি পলিমার এটি ফেব্রিকে হার্ড করে।
এলজিনেট গাম : এটি একটি ন্যাচারাল গাম, যা লিকার সলিউশন এর ভিসকোসিটি বাড়ায়।
এন্টিক্রিজিং এজেন্ট : ডাইং এর সময় ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে তার ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তা দূর করতে ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল হিসাবে পরিচিত।
সোপিং এজেন্ট : অতিরিক্ত ডাইস (রং) দূর করার জন্য ফেব্রিক ওয়াস করার সময় ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লিকুইড সোপ।
লবণ : ফেব্রিকের সারফেস, এবং ডাই-বাথ থেকে ডাইস আনতে সাহায্য করে, চার্জ নিউটন করে।
O.B.A : অপটিক্যাল ব্রাইটেনার, ফেব্রিকের ব্রাইটনেস অথবা হোয়াইটনেস বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিস্পারসিং এজেন্ট : পলিস্টার ফেব্রিকের ডাইজ যাতে সমান ভাবে প্রবেশ করে তার জন্য এই ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়। একে পলিস্টার এর লেভেলিং ও বলা হয়।
হাইড্রোজ : ফেব্রিক থেকে ডাইস (কালার) তুলতে ব্যবহার করা স্ট্রিপিং এর সময়। একে রিডিউসিং এজেন্ট বলা হয়।
বায়ো-স্কাওরিং ক্যামিকেল : মাল্টিপারপাস ট্রেটমেন্ট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে স্কাওরিং, ব্লিচিং, এনজাইম এগুলো একসাথে।
অনেক কিছু জানলাম.Visit textilebd.org!
thanks