এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা নীরবতার শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।
নীরবতার শক্তি বলতে চুপ থাকার শক্তি কে বোঝানো হয়েছে। চলুন তাহলে দেরি না করে দেখে নেয়া যাক নীরবতার শক্তি কতটা? দয়া করে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়বেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
একটি রিসার্চ অনুযায়ী মানুষ ৫০% কম কথা বলতে পছন্দ করে। আমাদের ছোট থেকেই সবাই শেখায় যে আমাদের বেশি কথা বলার দরকার। আর এই জন্যই অনেক সময় যারা কম কথা বলে তাদের উপর অনেক প্রেসার দেওয়া হয়, যাতে করে তারা বেশি কথা বলে। আর যখন তারা বেশি কথা বলতে শুরু করে তখনই তাদের হয় ভুল। এই কারণে তারা তাদের নিজের কাজটা ও মনোযোগ সহকারে করতে পারে না।
আপনি যদি কম কথা বলেন এবং আপনার মনে হয় যে কম কথা বলা আপনার উইকনেস অথবা দুর্বলতা তাহলে আপনার এই চিন্তা পুরোটাই ভুল। কেননা কম কথা বলার মানে এই না যে আপনি কোন চিন্তা করেন এবং আপনি কম ইন্টেলিজেন্ট।
নিরব থাকার মানে এটাই যে আপনি পরিস্থিতি বুঝতে পারেন। নীরব থাকা কোন দূর্বলতা নয়। নিরব থাকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যারা নীরব থাকে তারা যে কোন কাজকে অনেক সময় ধরে করতে পারে। যারা নীরব থাকে তারা অনেক ক্রিয়েটিভ হয়। আলবার্ট আইনস্টাইন খুবই কম কথা বলতেন এবং এ আর রহমান খুবই কম কথা বলেন।
এরমধ্যে আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, আমার কাছে কোন স্পেশাল ট্যালেন্ট নেই কিন্তু আমি যে কোন সমস্যার সমাধান অনেক সময় ধরে চিন্তা করে দিতে পারি।
নীরব থাকা ব্যক্তির কোয়ালিটি গুলো
- নীরব থাকা ব্যক্তি অন্যকে বোঝার চেষ্টা করে।
- নীরব থাকা ব্যক্তি খুবই বুদ্ধিমান।
- নিরব থাকার লোক মন থেকে খুবই ভালো হয়।
- নীরব থাকা ব্যক্তির ধৈর্যশীল হয়।
- নীরব থাকা ব্যক্তি সময় নষ্ট করে না।
- নীরব থাকা ব্যক্তি একা থাকতে পছন্দ করে।
নীরব থাকা ব্যক্তি অন্যকে বোঝার চেষ্টা করে
যারা নীরব থাকে তারা অনেক বুদ্ধিমান হয়। কেননা যারা নীরব থাকে তারা চুপচাপ বসে সামনে ব্যক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে তারপর বুঝে শুনে তার রিপ্লাই দেয়। এমনিতেও বর্তমান সময়ে কেউ কারো কিছু শুনতে চায় না শুধুই বলতে চায়।
সাধারণ মানুষ হোক কিংবা বড় লিডার সবাই সবার মনের মতন কথা বলতে চায়। কিন্তু অন্যের মনের কথা কেউ শুনতে চায় না। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে যদি আপনি কোন ব্যক্তির কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন তবে সামনের ব্যক্তির মনে হবে আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ। এবং সে আপনার প্রতি অ্যাট্রাক্টিভ হয় সে মনে করে কেউ তো আছে যে আমার মনের কথা শুনে এবং বুঝে।
নীরব থাকা ব্যক্তি খুবই বুদ্ধিমান
নীরব থাকা ব্যক্তি সবসময়ই কম কথা বলতে পছন্দ করে। নীরব থাকা ব্যক্তির দ্বিতীয় ব্যক্তির সামনে তার নিজের চিন্তা ভাবনাকে খুব সংক্ষেপে প্রকাশ করে। যারা সবসময় বেশি কথা বলে তারা এককথায় একের অধিক বার বলতে পছন্দ করে কিন্তু যারা নীরব থাকে তারা এক কথা খুবই কম সময়ে অধিক বার বলে।
নীরব থাকা ব্যক্তি মন থেকে খুবই ভালো হয়
সত্যিই নীরব থাকা ব্যক্তি মন থেকে ভালো হয়। আপনি চাইলে অবশ্যই নীরব থাকে এরকম কোন ব্যক্তিকে আপনার প্রকৃত বন্ধু বানাতে পারেন এবং ধোকা দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যারা নীরব থাকে তারা আগে আপনার কথা শুনবে এবং বুঝবে তারপর সে বলবে।
নীরব থাকা ব্যক্তি ধৈর্যশীল হয়
আপনার কোন রিলেটিভ যদি নীরব থাকে তাহলে অবশ্যই তার ভিতরে কোয়ালিটি আপনি খুঁজে পাবেন যে সে খুবই ধৈর্যশীল। কেউ বকা ঝকা করলেও সে ধৈর্য ধরে। হঠাৎ কোন কিছু হয়ে গেলে সে হতাশ হয় না। সাকসেসফুল না হলে হার মানে না সে বারবার চেষ্টা করতেই থাকে। যারা নীরব থাকে তারা কম বলে কিন্তু করে বেশি।
নীরব থাকা ব্যক্তির সময় নষ্ট করে না
যারা নীরব থাকে তারা নিজের সময়কে একদমই নষ্ট করতে চায়। তারা কোথাও বেহুদা কথা বলে না। সবসময় নিজে কোন না কোন কাজ করতে পছন্দ করে। যদি কোনো কাজ না থাকে সে একাকী বসে চিন্তা করে। এরকম তো আপনি খুবই দেখে থাকবেন যারা নীরব থাকে তারা অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে ফাও আলাপ করে।
নীরব থাকা ব্যক্তি একা থাকতে পছন্দ করে
আপনি সবসময় আপনার আশেপাশে দেখবেন কিছু কিছু লোক তারা নীরব বা একাকী থাকতে পছন্দ করে। তারা কোনো হট্টগোল, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদির মধ্যে জড়ায়না। তারা বেশিরভাগ সময়ে তাদের নিজেদের উপরে শেষ করে। তারা self-improvement করতে পছন্দ করে।
এতক্ষণ যা বললাম এগুলো পড়ে আপনার মনে হতে পারে যে সব সময় চুপ থাকা ভালো। আসলে তা না নিজের উপস্থাপনা সময় সুযোগ বুঝে প্রকাশ করা। এরকম যেন না হয় যে আপনার উপস্থাপনা জেনে সবাই তা হাস্যকরভাবে নেয়। আবার এরকম যেন না হয় যে সবাই তা ইগনোর করে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সময় সুযোগ বুঝে কাজ করতে হবে।